ভারতে কেভিড-১৯
রোগে মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পরই
দেখা দেয় তীব্র অক্সিজেন সংকট। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রনালয়ের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, দেশে অক্সিজেনের অভাবে কোনো মৃত্যু হয়নি। সরকার
বলছে, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কথা জানায়নি কোনো রাজ্যই।
এ খবরের পর ক্ষোভে
ফেটে পড়েছেন সাধারণ ভারতীয়রা। তারা বলছেন, গত এপ্রিল ও মে মাসে প্রতিদিনই দেশের কোথাও
না কোথাও অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খবর এসেছে। মানুষ এক সিলিন্ডার অক্সিজেনের জন্য
হাহাকার করেছে। সেখানে সরকার কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারে তা মাথায় আসছে না তাদের।
দিল্লিতে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট
একটি হাসপাতাল পরিচালনা করেন ডা. গৌতম সিং। তিনি বিবিসিকে বলেন, এপ্রিল ও মে মাসে অক্সিজেনের
ভয়াবহ সংকট ছিল। অক্সিজেনের অভাবে অনেক রোগীই মরতে বসেছিলেন। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন স্থান
থেকে চেয়ে বা ধার করে এনে রোগীদের জীবন বাঁচাতে হয়েছে। এমন এমন অনেক হাসপাতালের কথা
জানি যেখানে অনেক রোগীই কেবল অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন।
মহামারীর দ্বিতীয়
ঢেউ শুরু হলে ভারতের স্বাস্থ্য অবকাঠামো যে কতটা ভঙ্গুর তা প্রকাশ হয়ে পড়ে। হাসপাতালের
বিছানা সংকট, অক্সিজেনের অভাব ও ওষুধের সংকট দেখা দেয়। কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর স্বজনদের
বিছানা ও অক্সিজেন চেয়ে সাহায্যের আবেদনে ভরে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। বিশ্বের
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেসময় শিরোনাম ছিল ভারতের পরিস্থিতি। তাই সরকার যখন বলে যে অক্সিজেনের
অভাবে কারো মৃত্যু হয়নি তখন তা সাধারণ ভারতীয়দের ক্ষুব্ধ ও হতবাক করে।