কোরবানির মর্মার্থ
অনুধাবন করে সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত
মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।তিনি বলেন, ত্যাগের
শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও
সৌহার্দ্য।
আজ বুধবার বঙ্গবভবনে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে এসব কথা
বলেন রাষ্ট্রপতি।
আব্দুল হামিদ বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের
মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি
আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন
ও পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার
শিক্ষা দেয়।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্ব এমন একটা সময়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করছে, যখন
করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত।
বাংলাদেশেও করোনার নেতিবাচক প্রভাব ক্রমান্বয়ে প্রকট হচ্ছে। করোনার কারণে দেশের
জনগণের জীবন ও জীবিকা আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জীবন বাঁচানো প্রথম
অগ্রাধিকার হলেও জীবন বাঁচিয়ে রাখতে জীবিকার গুরুত্বও অনস্বীকার্য। সরকার করোনা
মোকাবিলা ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিভিন্ন প্যাকেজ প্রণোদনা প্রদানসহ বহুমুখী
কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। অসচ্ছল ও নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবেও বিভিন্ন
সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কৃষি ও শিল্পসহ উৎপাদনশীল প্রতিটি খাতের কার্যক্রম
অব্যাহত রাখতেও সরকার সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির কারণে টিকাদান
কর্মসূচি সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও বর্তমানে তা পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন,
সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে
দেশের সকল নাগরিকের জন্য টিকাদান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন,এটি এমন
একটি ভাইরাস যা থেকে ইচ্ছে করলেই কোনো ব্যক্তি বা পরিবার বা এককভাবে
একটি দেশের পক্ষে নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আজ আমরা
গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা। তাই, বিশ্বকে করোনার হাত থেকে
বাঁচাতে হলে উন্নত-অনুন্নত ও ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে বহুজাতিক সংস্থা ও
প্রতিষ্ঠানসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।এর জন্য দরকার
যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। অর্থাৎ, সঠিকভাবে মাস্ক
পরা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার
ব্যবহার করা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা।