মহামারীর মধ্যেও অলিম্পিক আয়োজনের পক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সঠিক পরিকল্পনা আর পদক্ষেপ নিয়ে কভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও যে অনেক কিছু অর্জন করা যায় সেটি বিশ্বকে দেখানোর জন্য টোকিও অলিম্পিকটা এগিয়ে চলুক-এমনটাই বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। টোকিওতে আজ ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সদস্যদের এক অনুষ্ঠানে তেদ্রোস বলেন, আশার দ্বীপ জ্বালিয়ে রাখতে অলিম্পিক গেমসটা এ মুহূর্তে বিশ্ববাসীর জন্য খুবই দরকার ছিল।


ইথিওপিয়ান নাগরিক তেদ্রোস বলেন, বিশ্বকে একত্র করতে, উত্সাহিত করতে আর কী করা সম্ভব সেটা দেখানোর ক্ষমতা আছে অলিম্পিকের। এই ভূখ থেকেই একটি সুস্থ, নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবীর জন্য আশার আলো প্রজ্জ্বলিত হোক। টোকিও গেমস সফল হোক, এটা আমার আন্তরিক প্রার্থনা। 


দু-একটি ডিসিপ্লিনের খেলার মধ্য দিয়ে টোকিও অলিম্পিক এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আজ ভোরে স্বাগতিক জাপান যেমন নারীদের সফটবলে অস্ট্রেলিয়াকে ৮-১ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে। যদিও ৩২তম অলিম্পিক গেমসটা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে আগামীকাল। টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠবে বিশ্ব ক্রীড়াযজ্ঞের। যদিও করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়েই টোকিও এসেছেন ১০ হাজারেরও বেশি অ্যাথলিটসহ হাজার হাজার বিদেশি।


দেশগুলোর মধ্যে টিকা প্রাপ্যতার বৈষম্য নিয়ে সমালোচনা করলেন তেদ্রোস। তিনি বলেছেন, টি২০ ভুক্ত অর্থনীতির দেশগুলো সামষ্টিক নেতৃত্ব প্রদর্শন করলে আর টিকার সুষম বন্টন করলে মহামারীর শেষ হতে পারতো। 


তার কথায়, বিস্তীর্ণ অঞ্চলে না ছড়িয়ে টিকা কেন্দ্রীভুত রাখা হয়েছে ভাগ্যবান কিছু মানুষের হাতে। বিশ্ব যখন চায় তখনই মহামারী শেষ হবে। এটা আমাদেরই হাতে। আমাদের প্রয়োজনীয় সব উপকরণই হাতে আছে। আমরা এই রোগটিকে প্রতিহত করতে, পরীক্ষা করতে আর চিকিত্সা করতে পারি।


জাপানের ৩৪ শতাংশ মানুষ টিকার অন্তত এক ডোজ নিয়েছেন। জাপানিদের অনেকের ধারণা, টোকিও অলিম্পিকটা তাদের দেশের জন্য করোনাভাইরাসের সুপার স্প্রেডার ইভেন্ট হতে পারে।


করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালের অলিম্পিক আসরটা পিছিয়ে নেয়া হয় এক বছর। যদিও এ বছরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। তাই করোনার মধ্যেই আয়োজন করা হচ্ছে এই আসরটি। এবার অলিম্পিক চলাকালে গ্যালারিতে কোনো দর্শক থাকছে না।

জাপানে ৮ লাখ ৪০ হাজার মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, আর সেখানে মারা গেছেন ১৫ হাজার ৫৫ জন। আয়োজক শহর টোকিওতে মঙ্গলবার সংক্রমণ শনাক্ত হয় ১ হাজার ৩৮৭ জন।   

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন