সূচকে ঊর্ধ্বমুখিতা

৬ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে ডিএসইএক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল আজহার ছুটির আগে শেষ কার্যদিবস গতকাল সূচকে ঊর্ধ্বমুখিতা পরিলক্ষিত হয়েছে দেশের পুুঁজিবাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে হাজার ৪০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচক বাড়লেও গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আবারো সাধারণ বীমা খাতের শেয়ার লেনদেন বেড়েছে। খাতভিত্তিক লেনদেনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল সাধারণ বীমা। এদিন খাতের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ রিটার্ন এসেছে। দর বাড়ার শীর্ষ কোম্পানির তালিকায়ও ছিল সাধারণ বীমা কোম্পানির আধিপত্য।

গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক নিম্নমুখী ছিল। লেনদেনের কিছু সময় পরেই সূচকের আরো পতন ঘটে। পরে আবার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় ফেরে সূচক। সারা দিন উত্থান পতনের মাধ্যমে দিন শেষে সূচকের উত্থান দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪০৫ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল হাজার ৩৬৫ দশমিক ১১ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের।

এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৩৮৭ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল হাজার ৩৭৯ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ১৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে গতকাল হাজার ৩২২ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৩০৬ দশমিক ০২ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে হাজার ২৬৪ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে হাজার ৭৯৩ কোটি লাখ ৮২ হাজার টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৫৯টির, কমেছে ১৭৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ১০ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ দখলে নিয়েছে প্রকৌশল খাত। ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাধারণ বীমা খাত। দশমিক ২৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। আর দশমিক ৯৬ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন