একদিনে রেকর্ড ২৩১ জনের মৃত্যু শনাক্ত ১৩,৩২১

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ আক্রান্ত ২৩১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে গতকাল। একদিনে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে ১১ জুলাই সর্বোচ ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গতকাল কভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৩২১ জন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৬ হাজার ৪৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৫৯ শতাংশে। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত কভিড আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে মোট ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩১০ জন।

নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ১২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো একদিনে ১৩ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৭৬৮। এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক শনাক্ত এটিই। গতকাল মৃত ২৩১ জনসহ এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ১২৫ জনের।

গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩১ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৩ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে ৪৩ জন চট্টগ্রাম, ১৬ জন রাজশাহী, ৫৭ জন খুলনা, ছয়জন বরিশাল, আটজন সিলেট, ১৭ জন রংপুর ১১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ নারী যথাক্রমে ১৩৬ ৯৫ জন। এদের মধ্যে বাসায় মারা যান ১৮ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২৯ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১-৬০ বছরের ৪৩ জন, ৪১-৫০ বছরের ৪৩, ৩১-৪০ বছরের নয়, ২১-৩০ বছরের ছয় ১১-৩০ বছরের একজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে হাজার ৩৩৫ জন। পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে লাখ ৪১ হাজার ৩৪৩ জন।

দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণের হার ওঠানামা করলেও দেড় মাসের বেশি সময় ধরে দেশে মহামারী পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে গত মে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। শক্তিশালী করোনার ধরনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয় গত মাসের শুরুর দিকে। দেশে মহামারীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নেয়ার পেছনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকেই সবচেয়ে বেশি দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন