এইচআর টেক্সটাইলের ১২৬ কোটি টাকার বন্ডে বিএসইসির সম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এইচআর টেক্সটাইল লিমিটেড বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছ থেকে ১২৬ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ইস্যুর অনুমতি পেয়েছে। সম্প্রতি কমিশনের কাছ থেকে বন্ড ইস্যুর সম্মতিপত্র পেয়েছে  কোম্পানিটি। তথ্যমতে, কোম্পানিটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে অবসায়নযোগ্য রূপান্তর অযোগ্য ১২৬ কোটি ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭৮ টাকার বন্ড ইস্যু করবে। বন্ডের অভিহিত মূল্য হবে লাখ টাকা। বন্ডটির ডিসকাউন্ট মূল্য ৮০ কোটি টাকা। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন উত্তোলন করে কোম্পানিটি মূলধনি যন্ত্রপাতি কেনা, ঋণ পরিশোধ, কারখানা সম্প্রসারণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যয় করবে।

বন্ডের বার্ষিক ইল্ড হবে শতাংশ থেকে দশমিক ৬০ শতাংশ। তিন থেকে সাত বছরের মধ্যে যা ম্যাচিউর হবে। বন্ডটি ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, প্রবাসী বাংলাদেশী (এনআরবি) সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

কোম্পানিটির বন্ড ইস্যু ম্যানেজার এবং প্রধান অ্যারেঞ্জার হিসেবে থাকবে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়া ট্রাস্টি হিসেবে থাকবে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৩ পয়সা। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ৫০ পয়সা বা ১১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা ৮৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল টাকা ৩১ পয়সা। সে হিসাবে নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ৫৩ পয়সা বা ৪০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির  শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১৩ পয়সা।

৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে অন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এইচআর টেক্সটাইল। সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৮৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত) ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৪২ টাকা ৭২ পয়সা।

সর্বশেষ ঋণমান অনুসারে এইচআর টেক্সটাইলের সার্ভিল্যান্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে প্লাস স্বল্পমেয়াদে এসটি-টু ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল এইচআর টেক্সটাইল। ২০১৮ ২০১৭ হিসাব বছরেও ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।

ডিএসইতে বৃহস্পতিবার এইচআর টেক্সটাইল শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৫৯ টাকা ৮০ পয়সা। সমাপনী দরও ছিল ৫৯ টাকা ৮০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩২ টাকা ২০ পয়সা ৬১ টাকা ৬০ পয়সা।

প্রাইড গ্রুপের রফতানিমুখী নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার এইচআর টেক্সটাইল ১৯৯৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৮২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা কোটি ৫৩ লাখ। এর মধ্যে ৫০ দশমিক ৬৪ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৬৮ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৪০ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত মুনাফা বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ৫৩ দশমিক ৮৭, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ২৪ দশমিক শূন্য ৩৮।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন