পাঁচদিন পর দুইশর নিচে মৃত্যু, শনাক্ত ১২ হাজারের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা টানা পাঁচদিন পর দুইশর নিচে নামল। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৮৭ জন। নতুন করে আরো ১২ হাজার ১৪৮ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৫ হাজার ৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষা করে ১২ হাজার ১৪৮ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য শতাংশ। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত কভিডে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জন। পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

অন্যদিকে গতকাল সকাল পর্যন্ত ১৮৭ জন সংক্রমিত রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ৬৮ জন। বাকিদের মধ্যে ৩৬ জন চট্টগ্রাম, ১৪ জন রাজশাহী, ৩৯ জন খুলনা, আটজন বরিশাল, নয়জন সিলেট, ছয়জন রংপুর নয়জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে পুরুষ নারী যথাক্রমে ১১৩ ৭৪ জন। বয়স বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০১ জন ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে।

বিভাগওয়ারি সংক্রমণ শনাক্ত বিবেচনায় গতকালও শীর্ষে ছিল ঢাকা বিভাগ। ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা জেলায় হাজার ৩৩৭ জন, ফরিদপুরে ১৪৭, গাজীপুরে ২৪৫, মুন্সীগঞ্জে ১০৯, নারায়ণগঞ্জে ২৪৭, নরসিংদীতে ১৪১, রাজবাড়ীতে ১৫৮, শরীয়তপুরে ১০৯ টাঙ্গাইল জেলায় ১৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

১২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো একদিনে ১৩ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিনের পর থেকে সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা আর ১২ হাজারের নিচে নামেনি। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে ১১ জুলাই। ওইদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের মার্চে। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণের হার ওঠানামা করলেও গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে দেশে মহামারী পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে গত মে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (ভারতীয় ধরন) সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। শক্তিশালী করোনার ধরনটির কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (গোষ্ঠীগত সংক্রমণ) শুরু হয় গত মাসের শুরুর দিকে। দেশে মহামারী পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নেয়ার পেছনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকেই সবচেয়ে বেশি দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন