করোনা নিয়ে ওবায়দুল কাদের

সতর্ক না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন না করলে ভয়ংকর বিপর্যয় নেমে আসবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, লকডাউনকে ফাঁকি দেয়া গেলেও করোনাকে ফাঁকি দেয়া যায় না, তার প্রমাণ অতিসংক্রমণ এবং মৃত্যুর উচ্চহার। তাই কেউ যেন দায়িত্বহীনভাবে ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল কোরবানির পশুর হাটে বাঁধভাঙা ভিড় সৃষ্টি না করে, সেদিকে সবাইকে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তা না হলে ভয়ংকর বিপর্যয় নেমে আসবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

তিনি বলেন, জনগণ ঠিকমতো মাস্ক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউনের প্রয়োজন হয় না। আর স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উদাসীনতা প্রদর্শন করলে লকডাউন অর্থহীন। ঠিকমতো মাস্ক পরিধান করোনা সংক্রমণ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার সবচেয়ে বড় সুরক্ষা।

মন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ এখন শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা সময় অনেকে মনে করতেন গ্রামের মানুষের করোনা হবে না। ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভাইরাসের সংক্রমণ এখন গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই সংক্রমণ আগের দিনের হারকে অতিক্রম করে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় মাস্ক পরার পাশাপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সামাজিক স্বেচ্ছাসেবীসহ দল-মত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলকে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাট-বাজারে বা চায়ের দোকানে জটলা তৈরি না করে সতর্কভাবে চলাফেরা এবং মাস্ক পরিধানের মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। নিজের সুরক্ষার জন্য সতর্ক না হলে, উদাসীনতা দেখালে কেউ আমাদের সুরক্ষিত করতে পারবে না। একসময় হয়তো হাসপাতালে বেড বাড়িয়েও রোগী সামাল দেয়া যাবে না। সেই পরিস্থিতি মাথায় রেখে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামজিক দূরত্ব বজায়সহ অন্য সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে শানিত হাতিয়ার হচ্ছে মাস্ক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন