মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বয়ঃসন্ধিকালীন দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও কিশোরী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

তাসিলমা আক্তার

মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের অন্যতম একটি সমস্যা। এর সঙ্গে বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় অ্যাডলেসেন্ট স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ (এএসপি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং জেন্ডার অ্যান্ড অ্যাডলেসেস: গ্লোবাল এভিডেন্স প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে একটি বেসলাইন গবেষণা করা হয়। উল্লেখিত গবেষণায় চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ১৮ টি মাধ্যমিক স্কুল ও ২ টি মাধ্যমিক মাদ্রাসার সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর ৭৬ জন শিক্ষার্থী এবং বেশকিছু শিক্ষক ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলা হয়।

এ গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানের বিষয় ছিল বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কিশোর-কিশোরীদের অভিজ্ঞতা।

মাসিক স্বাস্থ্যবিধির আওতায় বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক পরিবর্তন এবং কিশোরী শিক্ষার্থীদের মাসিক শুরু হওয়ার আগে থেকেই এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করা হয়, যাতে মাসিক শুরু হলে তারা এ ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারে। এর সঙ্গে মাসিক চলাকালে ব্যবহূত মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যাসামগ্রী, যেমন স্যানিটারি ন্যাপকিন, সাবান, পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা মাসিক স্বাস্থ্যবিধির অন্তর্গত।

কার্যকরী বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়টি কিশোর-কিশোরীদের, বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিতি এবং উত্সাহমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। মাসিক চলাকালে স্কুলের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা স্কুলে কিশোরী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে এবং পড়ালেখার প্রতি তাদের আগ্রহী হতে সাহায্য করে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের (এসডিজি) স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষা নিশ্চিতকরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনা স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তাদের দক্ষতা তৈরির সঙ্গে সম্পর্কিত।

এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারী কিশোরী শিক্ষার্থীরা মাসিকের সময়ে তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কথা বলেছে। এবং অধিকাংশ কিশোরী মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাদের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছে। গবেষণায় অংশ নেয়া ছেলেমেয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই উল্লেখ করে যে বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক যেসব পরিবর্তন ঘটে তারা সেগুলো সম্পর্কে আগে থেকে তেমন কিছুই জানত না। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৪ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, মাত্র ৩৬ শতাংশ ছাত্রীর মাসিক শুরু হওয়ার আগে থেকে এ সম্পর্কে ধারণা ছিল। গবেষণায় অংশ নেয়া অধিকাংশ কিশোরী মাসিক ও বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তন সম্পর্কে তাদের পরিবারের নারী সদস্য, যেমন মা অথবা বড় বোনের কাছ থেকে জানতে পেরেছে বলে উল্লেখ করে। তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাসিককালীন স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য তাদের মা ও বোনের কাছ থেকে পরামর্শ এবং তাদের প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যপরিচর্যার সহায়তা পেয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৪ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণীর কিশোরী শিক্ষার্থী প্রথমবার তার মাসিক হওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলে, ‘আমি ভাবছিলাম আমার আমাশয় হইছে। ফাস্টে ভয় পেয়ে গেছি। তখন মাকে যেয়ে বলছি। তখন মা আমাকে জিনিস দিয়েছে (স্যানিটারি ন্যাপকিন,) ওষুধ দিছে। তো আমি যখন বেশি ব্লিডিং হচ্ছে তখন মাকে যেয়ে বলি ডাক্তারের কাছে যাব। আমাকে তুমি একটা ওষুধ খাওয়াইছ। তখন মা আমাকে বলতে পারতেছে না যে এইটা (মাসিক) কি হয়েছে। পরে বলছে।

পরিবারের পাশাপাশি স্কুলে মাসিক ব্যবস্থাপনাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ও কার্যকর মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধার অভাবে কিশোরী শিক্ষার্থীদের মাসিক চলাকালে স্কুলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ২০১৪ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেজলাইন জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রতি ১৮৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র একটি করে টয়লেট আছে। জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশে অনেক স্কুলেই শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত ও কার্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা ও টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। আর এক্ষেত্রে অসংখ্য স্কুলে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহারোপযোগী এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আলাদা কোনো টয়লেট নেই।

গবেষণার আওতাভুক্ত অধিকাংশ স্কুলেও যথাযথ ও কার্যকর কোনো মাসিক ব্যবস্থাপনা ছিল না। স্কুলে পর্যাপ্ত ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট না থাকার কারণে এবং যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি ও সাবানের ব্যবস্থা না থাকার কারণে মাসিক চলাকালে কিশোরীরা তাদের স্কুলে অস্বস্তিতে ভোগে বলে গবেষণায় অংশ নেয়া অনেক কিশোরী উল্লেখ করে। তবে এসব সমস্যা থাকা সত্ত্বেও গবেষণায় অংশগ্রহণকারী সব কিশোরী নিয়মিত স্কুলে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে এবং তারা মাসিক চলাকালেও স্কুলে যায়। কয়েকজন কিশোরী উল্লেখ করে, মাসিক সম্পর্কে পূর্ব ধারণা না থাকা কিশোরীদের স্কুলে হঠাত্ করে মাসিক শুরু হয়ে গেলে অথবা মাসিক চলাকালে যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তারা স্কুলে যায় না।

সিলেট শহরে বসবাসকারী ১৩ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থী স্কুলের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বলে, ‘আমি স্কুলে যাওয়ার সময় সবকিছু নিয়ে যাই। আমাদের স্কুলে এ ব্যাপারে (মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা) কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তার পরও আমি স্কুলে যাই। অনেক স্কুল থেকে ছাত্রীদের প্যাড (স্যানিটারি ন্যাপকিন) সরবরাহ করা হয়। অথবা তাদের জন্য নির্দিষ্ট একটি জায়গায় (সাধারণত গোপনীয়ভাবে) প্যাড (স্যানিটারি ন্যাপকিন) রাখা হয়। কিন্তু আমাদের স্কুলে এ রকম কোনো কিছুই করা হয় না। এই শিক্ষার্থীর মতো অন্যান্য কিশোরীও উল্লেখ করে, তাদের বিদ্যালয়ে পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা থাকলেও সেটা অধিকাংশ সময় অনেক বেশি অপরিচ্ছন্ন এবং ব্যবহার অনুপযোগী থাকে। ফলে তারা স্কুলের টয়লেট ব্যবহার করতে পারে না। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী সিলেট অঞ্চলের সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত আরো একজন কিশোরী মাসিক চলাকালীন দিনগুলোতে স্কুলে তার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে যেয়ে উল্লেখ করে, গত দুই বছরে সে কোনোদিনও বিদ্যালয়ের টয়লেট ব্যবহার করেনি। জরুরি পরিস্থিতিতে সে বাড়িতে চলে যায়। এভাবে দীর্ঘক্ষণ টয়লেট ব্যবহার করতে না পারার কারণে এবং মাসিকের সময় পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার না করলে ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে না পারলে অনেক সময় প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ যেমন, যোনিপথের দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, চুলকানি, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হওয়া, যৌনাঙ্গে ক্ষতসহ গুরুতর ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস অসুখে কিশোরীরা আক্রান্ত হতে পারে।

বাস্তবতা এমন হলেও নীতিগতভাবে ২০১৫ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট ব্যবস্থাপনা বিষয়’-এ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এর আওতায় উন্নত টয়লেট ব্যবস্থাপনা সুবিধাসহ স্কুলে সাবান ও পানির ব্যবস্থা এবং মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর মেয়েদের শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে একজন নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হলেও আঞ্চলিক পর্যায়ে সঠিক তদারকি ও ব্যবস্থাপনা অভাব রয়েছে। এ গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও দেখা গেছে, অধিকাংশ স্কুলে একজন শিক্ষিকাকে দাত্বি প্রদান করা হয়েছে কিশোরী শিক্ষার্থীদের শারীরিক সমস্যার বিষয় দেখভাল করার জন্য। গবেষণায় অংশ নেয়া শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তারা সবসময় ছাত্রছাত্রীদের তাদের সমস্যা নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলতে উত্সাহ দেন। তবে উল্লেখিত গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে সিলেটের প্রত্যন্ত ও দুর্গম হাওর অঞ্চলের কিছু বিদ্যালয়ে কোনো নারী শিক্ষক নেই। এক্ষেত্রে সেই সব বিদ্যালয়ের কিশোরী শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার ব্যাপারে পুরুষ শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে সংকোচ বোধ করে।

স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের কার্যকর অংশগ্রহণ এবং ঝরে পড়া রোধ করার জন্য সব অঞ্চলের স্কুলগুলোতে মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। নীতিগতভাবে এ বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা থাকলেও প্রতিটি স্কুলে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলের শিক্ষার্থীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত নাজুক। তাই প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে।

আর এজন্য জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যমান নীতিগুলোর আঞ্চলিক পর্যায়ে যথাযথ প্রণয়ন ও নীতির কার্যকর বাস্তবায়নের বিষয়টি তদারকি করতে হবে। মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে স্কুল পরিচালনা কমিটি এবং গভর্নিং বডিকে স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালের স্বাস্থ্যবিধিবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।

যেমন বিদ্যমান অবকাঠামোগত সুবিধা যেমন টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপদ পানি, সাবান ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যাতে কার্যকর থাকে সে বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করার ব্যবস্থা করা। এছাড়া যেসব স্কুলে অবকাঠামো অপর্যাপ্ত এবং দুর্বল, সেই সব স্কুলে পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, যেমন আধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার্থীবান্ধব টয়লেট সুবিধা গড়ে তুলতে হবে।

কিশোরী শিক্ষার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং তাদের মাসিককালীন স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের মাসিককালীন সময় নিরাপদ স্বাস্থ্য পরিচর্যাসামগ্রী ব্যবহারের ব্যাপারে উত্সাহ দিতে হবে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্কুল থেকে মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা সহায়ক সামগ্রী প্রদানের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

এছাড়া অভিভাবকদের মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিষয়ে সচেতন করতে হবে।

এর সঙ্গে সঙ্গে স্কুলগুলোতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত ধারণা প্রদানমূলক বিদ্যমান পাঠ্যসূচি নিয়মিত পড়ানো এবং এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানসম্মত ও সময়োপযোগী ধারণা প্রদান করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টিও যথাযথভাবে তদারকি করতে হবে।

কিশোরীদের আত্মবিশ্বাস ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা অনেকাংশে নির্ভর করে নিরাপদ মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর। আর স্কুলে মাসিক স্বাস্থ্যবিধিবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান থাকলে কিশোরী শিক্ষার্থীরা স্কুলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে এবং নিয়মিত স্কুলে আসতে পারবে। এটা পরোক্ষভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করবে।

তাসিলমা আক্তার: রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, বিআইজিডি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন