দেশে সরকারিভাবে নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনের চিন্তা করা
হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয়
কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যের
ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের গবেষক সানজান কে দাস স্বাস্থ্য সচিবের কাছে সরকারি
পর্যায়ে টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে অবকাঠামো তৈরী করতে একটি প্রস্তাব পাঠান।
সানজান
দাসের টিকা তৈরির প্রযুক্তির আরএনডি ও প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে বলে কার্যপত্রে বলা
হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগসের বিদ্যমান কিছু অবকাঠামো এবং নতুন
কিছু যন্ত্রপাতি কিনলে টিকা উৎপাদন সম্ভব বলে কার্যপত্রে
উল্লেখ করা হয়। বিষয়টির কারিগরি দিক পর্যালোচনার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় বিবেচনা
করছে।
আজ রোববার সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়, সংসদীর
কমিটির বৈঠকে
দেশের সকল জনগনকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় দ্রুত
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আরএনডি ও প্রি-ক্লিনিক্যাল
প্রযুক্তির
মাধ্যমে সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল ইডিসিএলের গোপালগঞ্জ প্রকল্পের জন্য ক্রয়কৃত কিছু
মেশিন ব্যবহার করা যাবে। এর সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রয়োজনীয় কিছু মেশিন ক্রয় করা
হলে ন্যুনতম সময়ের মধ্যে দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যাবে।
ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ সম্পর্কিত একটি চিঠি গত ৭
জুন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে কারিগরি দিক পর্যালোচনার
বিষয়টি বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
কমিটির
গত বৈঠকে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ দেওয়ার সুপারিশ
করা হয়। ওই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় জানায়, তিনটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের টিকা তৈরির
সক্ষমতা রয়েছে। এগুলো হলো- ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এর
মধ্যে ইনসেপ্টা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রেডি টু ফিল ও মাস্টার সিড উভয় প্রক্রিয়ার
সক্ষমতা রয়েছে। পপুলারের মাস্টার সিড হতে উৎপাদনের সক্ষমতা নেই। হেলথ কেয়ার অনুমোদন পেয়েছে তবে এখনও
উৎপাদনে যায়নি।
এছাড়া গ্লোব বায়েটেক লিমিটেড উদ্ভাবিত কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।
বৈঠকে
তথ্য বিভ্রান্তি এড়াতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত যাবতীয়
তথ্য প্রদান ও পর্যালোচনা শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রদানের লক্ষ্যে
অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়। বৈঠকে এ বিষয়ে
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।