বগুড়ায় দুই মাস বয়সী ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মা হলেন হাসপাতালে ভর্তি আর শিশুটি নিল চিরবিদায়।
শিশুটির সঙ্গে বিদায় নিল তার নানা ও নানী।
গতকাল সকাল ৮টার দিকে বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় এলাকা বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের (বগুড়া এরিয়া) অফিসার ইনচার্জ খাইরুল ইসলাম জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড়ের হাতীবান্ধা নামক স্থানে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে একটি বাসের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই আশরাফ আলী (৫০) ও তার স্ত্রী পারুল বেগম (৪৫) নিহত হন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে নিহতদের দুই মাস বয়সী নাতি রেজোয়ান মারা যায়।
শিশুটির মা (২৫) ও অজ্ঞাতনামা সিএনজি অটোরিকশাচালক (৩০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার জুমারবাড়ি এলাকার আশরাফ আলী (৫০) তার কন্যা গোলাপি বেগমের বিয়ে দেন বগুড়া শহরের বারোপুুরে।
বিয়ের পর সন্তানসম্ভাবনা হলে গোলাপি পিতার বাড়ি চলে যায়।
সেখানে ছেলে সন্তান প্রসব করেন।
এরপর গতকাল সকালে দুই মাস বয়সী ছেলে রেজোয়ানের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সিএনজি অটোরিকশাযোগে রওনা হয়।
ছেলে অসুস্থ থাকায় গোলাপি তার বাবা আশরাফ আলী ও মা পারুল খাতুনকে সঙ্গে নেন।
হাসপাতালে যাওয়ার পথে বগুড়ার মহাস্থানগড়ের হাতীবান্ধায় ঢাকা থেকে রংপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই নানা আশরাফ, নানী পারুল মারা যান।
সিএনজি অটোরিকশাচালক (অজ্ঞাত) শিশু রেজোয়ান ও তার মা গোলাপিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে শিশুটি ভর্তির সময় মারা যায়।
আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মা ও সিএনজি অটোরিকশাচালক।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের ফতু্ল্লায় কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মিশুকের (অটোরিকশা) ধাক্কা লেগে দুজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ওই ঘটনায় কাভার্ড ভ্যানসহ চালককে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর আমানা গার্মেন্টস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আফসার উদ্দিন (৫৬) ও আব্বাস উদ্দিন (৪৮)। তারা শহরের টানবাজার সুতার গদিতে শ্রমিকের কাজ করেন।
নিহত আফসার উদ্দিন ফতুল্লার কাশিপুর হাজীপাড়া এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে ও আব্বাস উদ্দিন একই এলাকার মৃত হাসেম মিয়ার ছেলে।
ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই শামসুল হক জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি ও তার চালক রাসেলকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।
তিনি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মিশুকের (অটোরিকশা) ধাক্কা লেগে তিনজন আহত হন।
পরে তাদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের পরিবারের লোকজন তাদের মরদেহ নিয়ে গেছেন।
