দেশের বর্তমান রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৮৪ ভাগ দখল করে আছে তৈরি পোশাক খাত, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এজন্য সরকার দেশের রফতানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে।
বিশেষ করে প্লাস্টিক, চামড়া, কৃষি, আইসিটি ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে রফতানি নীতি প্রণয়ন করেছে।
এ খাতগুলোকে প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল, প্রশিক্ষণসহ সহযোগিতা দেয়া হবে।
এজন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ১০ কোটি ডলার ব্যয়ে এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ারের (আইপিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে চার দিনব্যাপী ‘১৫তম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি ফেয়ার-২০২১’
শীর্ষক এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। আগামী ৫-৮ জুলাই ভার্চুয়াল এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিজিএমইএ সভাপতি শামীম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রফতানি পণ্য হিসেবে প্লাস্টিক খাতকে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে।
প্লাস্টিক বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প।
দ্রুত এ শিল্পের প্রসার ঘটছে।
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের (স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ) চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই।
বিভিন্ন উন্নত দেশে প্রতিযোগিতা করে বাণিজ্যে টিকে থাকতে হবে।
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএর মতো বাণিজ্য চুক্তি করে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
রফতানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে।
কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।
২০২৩ সালের মধ্যে ৯০ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে।
আধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার, দক্ষ জনশক্তি দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করে বিশ্ববাজার দখল করতে হবে।
এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট জুডি ওয়াং ও বিপিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি গিয়াসউদ্দীন আহমেদ।
উল্লেখ্য, আইপিএফ প্রদর্শনীতে ১৯টি দেশের প্রায় ৪৮৩টি প্লাস্টিক কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও এতে অংশ নিচ্ছে চীন, মিসর, ইথিওপিয়া, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, সুদান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম।
দর্শনার্থীরা অনলাইনে যুক্ত হয়ে মেলায় প্রদর্শিত সব পণ্য দেখার সুযোগ পাবেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
