যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে উপার্জনে এখনো পিছিয়ে আছেন কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীরা।
যদিও মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন করে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমন বৈষম্যের চিত্র উঠে এসেছে।
খবর রয়টার্স।
অলাভজনক সংস্থাগুলো জোট ও গবেষণা সংস্থা কনফারেন্স বোর্ডের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভৌগোলিক বিভাজন, শ্রমবাজারের পার্থক্যের পাশাপাশি শিক্ষাগত সুযোগ, সামাজিক ও পেশাদার নেটওয়ার্কগুলোয় প্রবেশাধিকারসহ বিভিন্ন কারণে কর্মীদের মধ্যে মজুরির ব্যবধান রয়ে গেছে।
কনফারেন্স বোর্ডের শ্রমবাজার বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট গড লেভানন বলেন, একবিংশ শতাব্দীর অর্থনীতিতে বর্ণগত বৈষম্যের সাম্প্রতিক প্রবণতাগুলো মার্কিন ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে।
এ প্রবণতা বিপরীতকরণের জন্য শ্রমবাজার ও ভৌগোলিক বিভাজনকে গভীরভাবে মোকাবেলা করা প্রয়োজন।
কনফারেন্স বোর্ডের মতে, ২০১০ সালে স্নাতক কিংবা উচ্চতর ডিগ্রিধারী কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষরা শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের চেয়ে ১৮ শতাংশ কম আয় করত।
পরের দশকে এ ব্যবধান আরো বেড়েছে।
২০১৯ সালে আয়ের এ ব্যবধান বেড়ে ২৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
দেশটির উচ্চবেতনের শিল্প ও পেশায় কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীদের অবজ্ঞাপূর্ণ প্রবণতার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি শিল্পে উচ্চ উপার্জনকারীদের সংখ্যা বেড়েছে।
এ খাতে উচ্চ উপার্জনকারীদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গদের হার মাত্র ৪ শতাংশ।
পাশাপাশি অন্যান্য খাতের উচ্চ উপার্জনকারীদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গদের হার ৬ শতাংশ।
এছাড়া ক্রমবর্ধমান শিল্পের শীর্ষ উপার্জনকারীদের মধ্যেও কৃষ্ণাঙ্গদের উপস্থিতির হার খুব কম।
এ শিল্পের শীর্ষস্থানীয় উপার্জনকারী সিইওদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গদের হার ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বিপণন পরিচালনাকারী শীর্ষ উপার্জনকারীদের মধ্যে তাদের উপস্থিতি ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
কনফারেন্স বোর্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষস্থানীয় উপার্জনকারীসহ কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীদের কয়েকটি শিল্প ও কর্মসংস্থান ব্যাপকভাবে সংকুচিত হয়েছিল।
থিংক ট্যাংক উল্লেখ করেছে, স্নাতক ডিগ্রিধারী কৃষ্ণাঙ্গরা এমন একটি চাকরিতে কাজ করার সম্ভাবনা বেশি ছিল, যেখানে কলেজ ডিগ্রিরও প্রয়োজন হয় না।
যেমন গাড়ির চালক কিংবা নিরাপত্তা প্রহরী।
সম্মেলন বোর্ড প্রস্তাব করেছে, দূরবর্তী কাজকে গ্রহণ এবং যোগ্য কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য পদ সৃষ্টির মাধ্যমে মহামারী-পরবর্তী সময়ে শ্রমবাজারের বৈচিত্র্য সৃষ্টি জোরদার করা যেতে পারে।
