ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত ইব্রাহিম রাইসি। ভোটের বেসরকারি ফলাফলে তিনি বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্য তিন প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি। এ নির্বাচনে আরো বেশ কিছু প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে দেয়া হয়নি, যাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। পরাজিত মহসিন রেজাই, আমির হোসেন ঘাজিজাদ্দেহ হাসেমি ও আবদুল নাসের হেমাতি আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই অভিনন্দন জানিয়েছেন রাইসিকে।
ইব্রাহিম রাইসি ইরানের শীর্ষ বিচারক ও চরম রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত। তিনি ইরানের বেশ কিছু রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সঙ্গে জড়িত এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন।
ইরানে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পর প্রেসিডেন্ট দেশের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। ঘরোয়া আর বৈদেশিক নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার যথেষ্ট চর্চা করতে পারেন। কিন্তু ইরানের রাজনৈতিক কাঠামোতে রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যাপারে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিই শেষ কথা।
৬০ বছর বয়সী রাইসি ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়জুড়ে কাজ করেছেন প্রসিকিউটর হিসেবে। ২০১৯ সালে তিনি বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। এর দুই বছর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন হাসান রুহানির কাছে। আগামী আগস্টে সেই রুহানির কাছ থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব বুঝে নেবেন রাইসি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে ইরানের অর্থনীতির সেরা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন রাইসি এবং এ মুহূর্তে তাকেই প্রেসিডেন্ট পদে সেরা ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন ইরানের নাগরিকরা।