সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কিছুটা কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। কোন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কতটুকু ঝুঁকি রয়েছে সেটি পিই রেশিওর মাধ্যমে বোঝা যায়। পিই রেশিও যত কম ঝুঁকিও তত কম হবে। একইভাবে সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারের পিই রেশিওর মাধ্যমে বিনিয়োগের জন্য বাজার কতটুকু অনুকূলে রয়েছে, সেটি পরিমাপ করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।

গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা কমেছে। ডিএসই সূত্রে তথ্য জানা যায়।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৮ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট। যা সপ্তাহ শেষে অবস্থান করছে ১৮ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩০ শতাংশ।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই অবস্থান করছে দশমিক ৮০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাত ১৩ দশমিক ১০, সিরামিক খাত ২৭ দশমিক ১০, প্রকৌশল খাত ২১ দশমিক ৪০ আর্থিক খাত ২৩ দশমিক ৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এছাড়া খাদ্য আনুষঙ্গিক খাতের পিই রেশিও ২০ দশমিক ৭০ পয়েন্টে, জ্বালানি বিদ্যুৎ খাতের ১১ দশমিক ৮০, সাধারণ বীমা খাতের ২৫ দশমিক ৬০, আইটি খাতের ২৫ দশমিক ৪০, পাট খাতের ৭১৭ দশমিক ৪০, বিবিধি খাতের ২৩ দশমিক ১০, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের দশমিক ৫০, পেপার প্রিন্টিং খাতের ৪৪, ওষুধ রসায়ন খাতের ১৭ দশমিক ৮০, সেবা আবাসন খাতের ২০ দশমিক ১০, ট্যানারি খাতের ৭৪ দশমিক ৬০, টেলিকমিউনিকেশন খাতের ১৮ দশমিক ৭০, বস্ত্র খাতের ২১ দশমিক ৪০ এবং ভ্রমণ অবকাশ খাতের ৭৯ দশমিক ১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। 

উল্লেখ্য, আগের সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) অপরিবর্তিত ছিল। আগের সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৮ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে অবস্থান করেছে ১৮ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও অপরিবর্তিত ছিল। সে সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই অবস্থান করেছে দশমিক ৯০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাত ১৩, সিরামিক খাত ২৭ দশমিক ৭০, প্রকৌশল খাত ২৩ দশমিক ৬০ আর্থিক খাত ২৪ দশমিক ১০ পয়েন্টে অবস্থান করেছে। এছাড়া খাদ্য আনুষঙ্গিক খাতের পিই রেশিও ২০ দশমিক ৭০ পয়েন্টে, জ্বালানি বিদ্যুৎ খাতের ১১ দশমিক ৬০, সাধারণ বীমা খাতের ২৪ দশমিক ৬০, বিবিধ খাতের ২২ দশমিক ৮০, ওষুধ রসায়ন খাতের ১৭ দশমিক ৭০, বস্ত্র খাতের ২১ দশমিক ৫০ পয়েন্টে অবস্থান করেছে।

পিই রেশিও একজন বিনিয়োগকারী কত বছরের মধ্যে তা ফেরত পাবেন সেটিও নির্দেশ করে। ধরা যাক একজন বিনিয়োগকারী কোনো কোম্পানির একটি শেয়ার ১০০ টাকায় ক্রয় করেছেন। সেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর ১০ টাকা করে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির শেয়ারের দরকে ইপিএস দিয়ে ভাগ করলে যে ফলাফল আসবে সেটিই পিই রেশিও। আলোচ্য কোম্পানির ক্ষেত্রে পিই রেশিও হবে ১০। এর মানে হচ্ছে কোম্পানিটির ইপিএসে ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ১০ বছরে বিনিয়োগকারী তার প্রাথমিক বিনিয়োগের ১০০ টাকা ফেরত পাবেন। এক্ষেত্রে পিই রেশিও যত কম থাকবে বিনিয়োগকারী তার প্রারম্ভিক বিনিয়োগ তত তাড়াতাড়ি ফেরত পাবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন