শাহজালাল বিমানবন্দরে নতুন হ্যাঙ্গার

ভাড়া বাড়ালেও অবকাঠামোগত দুর্বলতায় উড্ডয়ন ঝুঁকির শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে উড়োজাহাজ রাখার বিদ্যমান হ্যাঙ্গার। হেলিকপ্টার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সম্প্রতি আরেকটি হ্যাঙ্গার নির্মাণ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) তবে নতুন হ্যাঙ্গারে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় সেটিকে উড্ডয়নের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলছে সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে বেসরকারি হেলিকপ্টার উড়োজাহাজ রাখার হ্যাঙ্গার ভাড়াও অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় অপারেটররা।

হ্যাঙ্গারের বিভিন্ন সমস্যা অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি জানিয়ে এরই মধ্যে বেবিচকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) এওএবির মহাসচিব মফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্মিত হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে কোনো দরজা নেই। বড় হেলিকপ্টার চালু করলে কোনো এয়ারক্রাফট স্থির থাকতে পারবে না। এছাড়াও যেখানে হ্যাঙ্গার স্থাপন করা হয়েছে, সেটা রানওয়ের কাছে। এখান থেকে হেলিকপ্টার উড়তে গেলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা ত্রাণ তত্পরতাসহ জরুরি প্রয়োজনে পরিধি বেড়েছে হেলিকপ্টার সেবার। বর্তমানে ১০টি কোম্পানির ৩০টি হেলিকপ্টার আটটি উড়োজাহাজ সেবা দিচ্ছে। ১৯৯৯ সালে বাণিজ্যিকভাবে চালুর পর বেবিচকের জায়গা ইজারা নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হ্যাঙ্গার স্থাপন করে কার্যক্রম চালাচ্ছিল হেলিকপ্টার কোম্পানিগুলো। এতে বছরে প্রতি বর্গফুটে ১০০ টাকা করে ভাড়া গুনতে হতো তাদের। তবে বেবিচকের নির্মাণ করা হ্যাঙ্গারে প্রস্তাবিত ভাড়ায় প্রতি বর্গফুটে মাসে ৮৫ টাকা করে দিতে হবে। সেই হিসেবে বার্ষিক ১০০ টাকার ভাড়া গুনতে হবে হাজার ২০ টাকা। এছাড়া নতুন হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে পানি বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। কমপ্লেক্স ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেই। অবস্থায় জুলাইয়ের মধ্যে হ্যাঙ্গার সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন হেলিকপ্টার সেবাদাতারা।

প্রসঙ্গত, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ চলছে। এজন্য জুলাইয়ের মধ্যে হেলিকপ্টার কোম্পানির নির্মাণ করা হ্যাঙ্গারসহ সব স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে বেবিচক। এরপর থেকে তাদের ভাড়া দেয়া হ্যাঙ্গারেই চালাতে হবে হেলিকপ্টার সেবা।

প্রসঙ্গে বেবিচকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ বিদ্যমান হ্যাঙ্গারগুলোর কারণে ধীরগতিতে চলছে। কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতেই জুলাইয়ের মধ্যে হ্যাঙ্গার সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে হেলিকপ্টার প্রতিষ্ঠানগুলোকে হ্যাঙ্গার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হ্যাঙ্গারের ভাড়ার বিষয়ে সহনীয় করতে ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে কাজ চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন