বিশ্ব মরুকরণ ও খরা দিবসে পরিবেশমন্ত্রী

সরকার এ বছরও আট কোটি গাছ রোপণ করবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উর্বর ভূমি সংরক্ষণের পাশাপাশি সবুজ অর্থনীতি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ২০৩০ সালের মধ্যে ভূমির অবক্ষয় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সরকার গত বছর সাড়ে আট কোটি গাছ রোপণ করেছে এবং বছরও আট কোটি গাছ রোপণ করবে। যেকোনো প্রয়োজনে একটি গাছ কাটা হলে পাঁচটি গাছ লাগানোর নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। এসব উদ্যোগ ভূমির ক্ষয়রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। ইউএন কনভেনশন টু কমব্যাট ডিসার্টিফিকেশন- স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

গতকাল টার্নিং ডিগ্রেডেড ল্যান্ড হেলদি ল্যান্ড (অবক্ষয়িত ভূমিকে স্বাস্থ্যকর ভূমিতে রূপান্তর) প্রতিপাদ্য ধারণ করে বিশ্ব মরুকরণ খরা দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সরকার মরুকরণ খরা প্রতিরোধে পানির অপ্রাপ্যতা, বন উজাড়, ভূমিক্ষয় এবং পরিবেশের ওপর মানুষের অপরিকল্পিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে।

মন্ত্রী সময় ভূমির অবক্ষয় রোধে ইটভাটায় সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের পর সরকারি কাজে মাটির তৈরি ইট ব্যবহার করা যাবে না।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি ভূমি অবক্ষয়-নিরপেক্ষ বিশ্ব অর্জন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ একটি সক্রিয় অংশীদার। মরুকরণ মৃত্তিকা অবক্ষয় রোধ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যনিরাপত্তা গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বাড়বে; ফলে কৃষকের আয় বৃদ্ধির পথ প্রসারিত হবে। কার্যক্রম জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোকেও প্রশমিত করতে সহায়ক।

মন্ত্রী তার বক্তব্যে খরা প্রতিরোধে বনায়ন পুনঃবনায়নের ওপর জোর দেন এবং খরা এলাকায় পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন করে সেচের ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততাসহিষ্ণু ফসলের জাত প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রয়োগ করে উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করার ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দেন। তিনি বাংলাদেশে নদীর উজানের পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব অধ্যাপক . জহুরুল করিম, শের--বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের ডিন এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক . অলোক কুমার পাল প্রমুখ। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বেসরকারি সংস্থার বিশেষজ্ঞ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন