ঢাকা ইলেকট্রনিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুেসবা দিতে ২৪টি নতুন সাবস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে ডেসকো এলাকার আওতাভুক্ত অন্তত সাড়ে চার লাখ গ্রাহক মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ পাবেন। ২৪টি সাবস্টেশন নির্মাণের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১ হাজার ৭৩৬ এমভিএ সক্ষমতাও বাড়বে।
গতকাল এক অনলাইন সেমিনারে সাবস্টেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ডেসকো এলাকায় ২৪টি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সেমিনারে জানানো হয়, ডেসকো এলাকায় এসব সাবস্টেশন কার্যক্রম শুরু হলে বিদ্যুতের সিস্টেম লস, লো-ভোল্টেজ সমস্যা সমাধান হবে। এছাড়া উত্তরা তৃতীয় ফেজ ও পূর্বাচলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সিস্টেম শক্তিশালী হবে।
সেমিনারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্রুতগতিতে চাহিদা মোতাবেক গ্রাহকসেবা বৃদ্ধি করতে হবে। সেবা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানো আবশ্যক। ডেসকো এলাকায় স্ক্যাডা, ভূগর্ভস্থ তার, ভূগর্ভস্থ উপকেন্দ্র ও আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপনের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে।
নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে ফাইন্যান্সিয়াল ও ইকোনমিক্যাল যে ক্ষতি হবে তার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হবে।
২৪টি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন ডিজাইন, সরবরাহ, ইনস্টলেশন ও কমিশনিং করার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। ১৮ মাস মেয়াদি এ প্রকল্প শেষ করার জন্য এডিবির অর্থায়ন করে। ডেসকোর সঙ্গে সিমেন্স লিমিটেড ইন্ডিয়া, সিমেন্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কৃতচুক্তি কার্যকর হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের কাজ কেন বিলম্বিত হলো এগুলো থার্ড পার্টি দিয়ে গুণগতমান সম্পর্কে পুনঃপরীক্ষা করা প্রয়োজন।
ডেসকো পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শেখ ফয়েজুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমীর আলী সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
