পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড তার বে-মেয়াদি বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে পরিবর্তন এনেছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকটি প্রস্তাবিত বন্ডের ৭০০ কোটি টাকার পুরোটা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ না করে ৬৩০ কোটি এ পদ্ধতিতে সংগ্রহ করবে।
বাকি ৭০ কোটি টাকা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি ২০২১ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা, আর এককভাবে ৫৬ পয়সা।
এ হিসাবে প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংটির সমন্বিত আয় বেড়েছে ৯ পয়সা বা ১৬ শতাংশ, আর এককভাবে আয় বেড়েছে ৩ পয়সা বা সাড়ে ৫ শতাংশ।
আগের হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ও একক ইপিএস ছিল যথাক্রমে ৫৫ পয়সা ও ৫৩ পয়সা।
৩১ মার্চ ২০২১ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত
নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২১ পয়সা ও এককভাবে ২২ টাকা ৯৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ২৪ টাকা ২৩ পয়সা ও ২৪ টাকা ১৬ পয়সা।
গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক।
এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল মার্কেন্টাইল ব্যাংক।
এর মধ্যে ১১ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
২০১৮ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।
২০১৭ হিসাব বছরে ১৭ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
সর্বশেষ রেটিং অনুসারে ব্যাংকটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’
ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।
ডিএসইতে গতকাল মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।