এপ্রিলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক।
উদ্দেশ্য বিশ্ববাণিজ্য চাঙ্গা করা।
এরই অংশ হিসেবে মে মাসে দৈনিক ৩ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়িয়েছে জোটটি, যা নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়েও বেশি।
খবর অয়েলপ্রাইসডটকম।
ওপেক সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানায়, মে মাসে সব মিলিয়ে দৈনিক ২ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করা হয়েছে।
জোটের মাসভিত্তিক জ্বালানি তেলের বাজার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওপেকের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল উত্তোলক দেশ সৌদি আরব।
মে মাসে দেশটির উত্তোলন সর্বাধিক বেড়েছে।
ওপেক প্লাসের চুক্তি থেকে যে তিনটি দেশ নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল তাদের মধ্যে দুটি ইরান ও ভেনিজুয়েলা।
এ দুই দেশেও জ্বালানি তেল উত্তোলন বেড়েছে।
অন্যদিকে চুক্তি থেকে সরে আসা তৃতীয় দেশ লিবিয়াও এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়িয়েছে।
যদিও হারিগা বন্দরে ফোর্স মেজার জারি করায় কয়েকদিন দেশটির উত্তোলন বড় পরিসরে কমে গিয়েছিল।
এর পরও উত্তোলনে প্রবৃদ্ধি এসেছে।
বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারক সৌদি আরব।
রাশিয়ার সঙ্গে ওপেক প্লাসের নেতৃত্ব দেয় এ দেশটিও।
মে মাসে দৈনিক ৩ লাখ ৪৫ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়িয়েছে সৌদি আরব।
ওই মাসে দেশটি দৈনিক ৮৪ লাখ ৬৬ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছে।
অন্যদিকে জোটের বাইরে সৌদি আরব একতরফাভাবে প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা থেকে সরে এসেছে।
জোটের বাইরে দৈনিক আড়াই লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
এদিকে ওপেকের অন্তর্গত থেকেও অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের দিক থেকে সবচেয়ে নিচের দিকে রয়েছে নাইজেরিয়া ও অ্যাঙ্গোলা।
দেশ দুটি যথাক্রমে দৈনিক ৭২ হাজার ও ৬০ হাজার ব্যারেল করে জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়েছে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের যেসব দেশ ওপেকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সেসব দেশেও জ্বালানি তেল উৎপাদন বেড়েছে।
এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ইরাক দৈনিক ৩৩ হাজার ব্যারেল, কুয়েত ৩২ হাজার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৮ হাজার ব্যারেল করে জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়েছে।
এছাড়া ইরান দৈনিক ৪২ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মে মাসে প্রতিদিন ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরান জ্বালানি তেল উত্তোলন বৃদ্ধির ব্যাপারে জানিয়ে আসছিল।
মূলত ভিয়েনায় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান পরমাণু সংলাপ নিয়ে আশাবাদী দেশটি।
এ সংলাপের মধ্য দিয়ে ইরানের ওপর থেকে জ্বালানি তেল রফতানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অবসান হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।