করোনায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা প্রদানে গৃহীত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বিওজে)। গতকাল নীতিনির্ধারক পর্যায়ে দুই দিনব্যাপী এ আলোচনা শুরু হয়।
খবর কিয়োদো নিউজ।
জাপানের অর্থনীতিবিদরা জুন থেকে আগামী তিন মাস দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এজন্য জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ আলোচনায় অর্থনীতির জন্য সহজ নীতিই অনুসরণ করবে বলে জানা গেছে।
কার্ভ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের আওতায় জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মাইনাস ১ শতাংশ হারে স্বল্পমেয়াদি সুদহার প্রয়োগ করে।
পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে যেসব বন্ড রয়েছে, সেগুলোয় শূন্য হার দিয়ে থাকে।
এছাড়া সরকার প্রতি বছর ১০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার মূল্যের এক্সচেঞ্জ ট্রেড ফান্ড কিনে থাকে।
জাপানের গভর্নর হারুহিকো কুরোডা বলেন, কভিড-১৯ মহামারীর অবস্থা বিবেচনায় সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রদত্ত বাণিজ্যিক সহায়তা প্রকল্পের সময় বাড়ানো হবে।
এছাড়া জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অন্যান্য ব্যাংকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
যেসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান করোনায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তারা যাতে এসব ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন এবং বাণিজ্যিক বন্ড কিনতে পারেন, সেজন্য এ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
গত এক বছরে জাপানে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার হার বেড়েছে।
সেই সঙ্গে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানের ঋণ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বছরের মে মাসের তুলনায় চলতি বছর শিনকিন ক্রেডিট ইউনিয়ন থেকে ঋণ গ্রহণের হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।
যেখানে সামগ্রিকভাবে ঋণ নেয়ার হার বেড়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
টোকিও ও ওসাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় করোনার কারণে জরুরি অবস্থা জারি করায় অনুৎপাদনশীল খাতে মারাত্মক ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড জানায়, ২০২৩ সাল থেকে তারা সুদহার বৃদ্ধি করবে।
দুদিনের আলোচনায় দেশটি তাদের অর্থনৈতিক নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনেনি।
গত বছরের তুলনায় চলতি বছর জাপানের ভোক্তা মূল্যসূচকে (সিপিআই) শূন্য দশমিক ১ শতাংশ অবনমন ঘটেছে।
যেখানে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ খাতে ২ শতাংশ অবনমনের পূর্বাভাস দিয়েছিল।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এ খাতে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা গত ১২ বছরের তুলনায় সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মহামারীর কারণে দেশের মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে নিয়ে আসার জন্য জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল, তা বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি হয়েছে।