আরো ৬৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৮৪০

পরপর তিনদিন মৃতের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়ানোর পর আজ সারা দেশে ৬৩ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের এ সংখ্যা দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৩ হাজার ৮৪০ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৮৭। আর মারা গেছেন ১৩ হাজার ৩৪৫ জন করোনা রোগী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশের ৫২৮টি পরীক্ষাগারে ২৪ হাজার ৮৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২৪ ঘণ্টায় আরো ২ হাজার ৭১৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৬। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৩২  ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

একদিনে মারা যাওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ১১ জন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে ২০ জন খুলনা, দশজন ঢাকা, ১১জন চট্টগ্রাম, দুজন সিলেট, ২জন রংপুর, তিনজন বরিশাল ও দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। গতকাল পর্যন্ত মারা যাওয়া ১৩ হাজার ৩৪৫ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৫৮৮ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ৭৫৭ জন নারী।

২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর প্রথম রোগীর মৃত্যুর কথা জানায় সরকার। চলতি বছরের ৩১ মে করোনা রোগীর সংখ্যা আট লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। ১১ জুন মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ হাজার অতিক্রম করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল দৈনিক হিসেবে সর্বোচ্চ ১১২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল রয়েছে। এ বিধিনিষেধের কারণে মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। তবে সম্প্রতি আবার বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। বিশেষ করে ভারত সীমান্তবর্তী ১৫ জেলায় রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সারা দেশে বিধিনিষেধের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি স্থানে স্থানীয়ভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতেও দেখা গেছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন