বিধিনিষেধের মেয়াদ এবার এক মাস বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরো এক মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে বিধিনিষেধ চলবে ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। এর বাইরে যেসব জেলা করোনার উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, সেগুলোয় স্থানীয়ভাবে লকডাউন কার্যকর করার কথা জানানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় শর্ত যোগ করে ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। নতুন শর্তের মধ্যে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বেসরকারি অফিস, ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। এতদিন শুধু জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অফিসগুলো খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও প্রায় সব অফিসেই দৈনন্দিন কার্যক্রম চলমান ছিল। এর বাইরে আগের মতোই সব বিনোদন কেন্দ্র, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ রাখা; জনসমাগম ঘটে, এমন সব রাজনৈতিক, সামাজিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা; হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা এবং আসনসংখ্যার অর্ধেক ভোক্তাকে খাবার পরিবেশন করা গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

চলতি বছরের মার্চের শেষভাগ থেকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় গত এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য মানুষের চলাচলে দ্বিতীয় দফায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা আরো দুদিন বাড়ানো হয়। ১৪ এপ্রিল থেকে আরো বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়। এটি সর্বাত্মক লকডাউন হিসেবে পরিচিতি পায়। সে সময় সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়। সড়ক, রেল, নৌপথ আকাশপথে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। জরুরি নিত্যপণ্য বাদে শপিংমলসহ বিভিন্ন দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। খাবারের দোকান রেস্তোরাঁগুলোতে দিন রাতের একটা নির্দিষ্ট সময়ে কেবল পার্সেলের মাধ্যমে খাবার বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাঁচাবাজারগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং উন্মুক্ত স্থানে বসানোসহ আরো বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাড়ি থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। জরুরি প্রয়োজনে মানুষের বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য মুভমেন্ট পাস চালু করে পুলিশ। তবে আরোপিত এসব বিধিনিষেধের ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রেই শিথিলতা দেখা গেছে সে সময়।

পরে গত ২০ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, মে, ১৬ মে, ২৩ মে, ৩০ মে সর্বশেষ জুন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যদিও এর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিপণিবিতান, হোটেল-রেস্তোরাঁ, গণপরিবহনের মতো জায়গাগুলো থেকে নিষেধাজ্ঞা শর্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন