পরিচালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ইসির হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপে ৫৫ হাজার ভুয়া ভোটার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

রোহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রমাণ মিলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে। নির্বাচন কমিশনের হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ থেকে -সম্পর্কিত তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। ঘটনায় গতকাল চট্টগ্রাম জেলার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা (বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক) খোরশেদ আলমসহ চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়--এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। ওই সময় আসামিরা সবাই নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

দুদকের মামলায় খোরশেদ আলম ছাড়াও রামু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম, অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তফা ফারুককে আসামি করা হয়েছে। ছয় বছর আগে রহস্যজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হারিয়ে যাওয়া একটিসহ কয়েকটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে অবৈধভাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ভোটারদের অধিকাংশই মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা।

মামলার বাদী দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, চট্টগ্রাম জেলা সাবেক সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, জেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া, পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তফা ফারুকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের হারিয়ে যাওয়া একটি ল্যাপটপসহ কয়েকটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা ভোটার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন