বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে ১১ জন মারা গেছেন।
চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো প্রায় অর্ধশত।
এছাড়া দুই শিশু ও এক বৃদ্ধা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় গতকাল তাদের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিন দুপুরে বান্দরবান ৭ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক মেজর সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ইউনিয়নটির দুর্গম এলাকায় ম্রো জনগোষ্ঠীর মাঝে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়ার খবর পেয়ে সোমবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম হেলিকপ্টারযোগে ঘটনাস্থলে যায়।
মেডিকেল টিম এখনো সেখানে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, গত রোববার পর্যন্ত ওই এলাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুই ব্যক্তি মারা যাওয়ার খবর সেনাবাহিনীর কাছ থেকে পেয়েছি।
রোগীদের সঙ্গে থাকা মেনহাত ম্রো বলেন, আমাদের এলাকার পাড়াগুলোতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় না বললেই চলে।
এলাকায় কোনো বিশুদ্ধ পানির প্রযুক্তি নেই।
বাধ্য হয়ে সারা বছর ঝিরি ও খালের পানি পান করতে হয়।
প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে ডায়রিয়া দেখা দেয়।
কিন্তু এবার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
গতকাল ভোর পর্যন্ত এ রোগে ১১ জন মারা গেছে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু মারমা বণিক বার্তাকে বলেন, নিরাপদ পানি প্রযুক্তি না থাকায় দুর্গম এলাকার বেশির ভাগ মানুষ প্রাকৃতিক ছড়া ও ঝিরির পানি পান করে।
বৃষ্টি হলে প্রাকৃতিক এসব উেসর পানি দূষিত হয়ে যায়।
এতে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।