বিদেশগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকা দেয়া ও টিকিটের মূল্য স্থিতিশীল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ।
এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে তারা।
একই সঙ্গে কূটনৈতিক তত্পরতার মাধ্যমে সৌদি প্রবাসীদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে ১ লাখ ২০ হাজার টিকা চেয়েছেন বায়রার নেতারা।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় বায়রা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বায়রার সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন জানান, বাংলাদেশের অর্থনীতির অধিকাংশ জুড়ে আছে প্রবাসীদের অবদান।
রিজার্ভের ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী কর্মীদের।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বর্তমান শ্রমবাজারে একমাত্র সৌদি আরব ছাড়া সব দেশে শ্রমিক প্রেরণ বন্ধ রয়েছে।
এমনকি এ বিশ্ব মহামারী সামনে রেখে সৌদি সরকার তাদের দেশে সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে কিছু নিয়ম চালু করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বিদেশগামী কর্মীদেরকে করোনার নেগেটিভ সনদ ও টিকা নেয়ার সনদ নিয়ে যেতে হয়।
অন্যথায় তাদের বাধ্যতামূলক সাতদিনের ব্যয়বহুল হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে, যার খরচ ৭০-৮০ হাজার টাকা।
এখন ৫০ হাজার কর্মী বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন।
ফলে তাদের কোয়ারেন্টিন বাবদ ৩৭৫ কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে।
গ্রামের গরিব ও অসহায় মানুষের পক্ষে এ টাকা বাড়তি খরচ করে বিদেশ যেতে অসুবিধা হচ্ছে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, করোনা এ মহামারীর সময় বিভিন্ন এয়ারলাইনস টিকিটের উচ্চমূল্য নির্ধারণ করেছে, যা বহন করতে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
টিকিটের মূল্যের অতিরিক্ত ব্যয় পরোক্ষভাবে প্রবাসী কর্মীদের ওপরই বর্তায়।
টিকিটের এ বিদ্যমান উচ্চমূল্য শুধু বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণকারী গন্তব্যের জন্য প্রযোজ্য।
এ অবস্থায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক সহসভাপতি আবুল বারাকাত ভূঞা, মিজানুর রহমান, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সাবেক ইসি সদস্য লিমা বেগম প্রমুখ।