দীর্ঘ দুই বছর পর পাকিস্তানি চাল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে রাশিয়া।
ফলে রাশিয়ায় চাল সরবরাহে বাধা কাটল পাকিস্তানের।
প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের চারটি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় চাল সরবরাহের অনুমতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির খাদ্যনিরাপত্তা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
খবর ডন।
২০১৯ সালের মে মাসে পাকিস্তানি চাল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাশিয়া।
পাকিস্তান থেকে আমদানীকৃত চালের গুণগত মানসংক্রান্ত জটিলতা ও চালে পোকা থাকার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ ঘটনার তদন্ত করছে রাশিয়া।
তদন্ত শেষে পাকিস্তানের অন্যান্য চাল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানও রফতানির অনুমতি পাবে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের খাদ্যনিরাপত্তা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব প্লান্ট প্রোটেকশনের টেকনিক্যাল কোয়ারেন্টিনের নির্বাহী পরিচালক সোহাইল শেহজাদ রাশিয়ার সঙ্গে গত বছর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার আলাপ-আলোচনা করছিলেন।
চলতি সপ্তাহে তার এ প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখেছে।
প্রাথমিকভাবে চারটি প্রতিষ্ঠানকে চাল সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে রাশিয়া।
এর মধ্যে দুটি করাচির, একটি লাহোরের এবং একটি পাঞ্জাবভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভার্চুয়াল যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে অনুমতি দেবে পাকিস্তানের প্লান্ট কোয়ারেন্টিন ডিভিশন।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেইশি।
এ সিদ্ধান্ত দেশ দুুটির সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান বিশ্বের ১৪০টি দেশে চাল রফতানি করে।
এর মধ্যে ২৫ লাখ টন চালের বাজার রয়েছে রাশিয়ায়।