অভিমত

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অর্জন অভীক্ষা

ড. মনসুর আলম খান

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন বাংলাদেশের জন্য এক চমকপ্রদ ঘটনা। উপরন্তু, সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। নিঃসন্দেহে ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণ অতিবাহিত করছে বর্তমানের বাংলাদেশ।

জাতির পিতা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন পরিকল্পিত উন্নয়নের ওপর। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাত্র ২১ দিনের মাথায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পরিকল্পনা কমিশন, ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২। ওই পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের দায়িত্বেই প্রণীত হয়েছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। নতুন যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে সাধারণত বিস্তর আলোচনা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতি অন্য নানা কারণে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কমই। নিশ্চয়ই অনুকূল সময়ে সম্মানিত অর্থনীতিবিদরা আলোচনা করবেন। বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণে হবে সেমিনার, কর্মশালা। কিন্তু আমরা যারা মোটাদাগে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি বুঝতে চাই। সরল বাক্যে বোঝার চেষ্টা করি কী আছে ৭৮০ পৃষ্ঠার পরিকল্পনা দলিলে।

পরপর চারটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হবে রূপকল্প ২০৪১ এর প্রথমটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে মোটাদাগে দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে আছে ছয়টি অধ্যায়। যাতে বর্ণনা করা হয়েছে সামষ্টিক কৌশলগত দিকনির্দেশনাগুলো এবং নীতি কাঠামো। দ্বিতীয় অংশে অধ্যায় ১৪টি। অংশে বর্ণনা করা হয়েছে খাতভিত্তিক কৌশল, কর্মসূচি অর্থ বরাদ্দের চিত্র।

প্রথম ভাগের প্রথম অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে সদ্যসমাপ্ত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাংলাদেশের অর্জনের চিত্র। সময়াবর্তে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২০ মতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ১৫ লাখ ১৫ হাজার ৮০২ কোটি টাকার জিডিপি বেড়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে হয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৯৬ হাজার টাকা (১২৩৬ টাকা) থেকে বেড়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে হয়েছে লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৮ টাকা (১৯৭০ টাকা) ২০১৬ সালের দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক শতাংশ থেকে নেমে ২০১৯ সালে হয়েছে ২০ দশমিক শতাংশ। সময়ের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১০ দশমিক শতাংশ। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায়। আয়বৈষম্য বৃদ্ধি, কর-জিডিপি, রফতানি-জিডিপি অনুপাত হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি নির্ণায়কে পিছিয়ে থাকলেও বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, আইটিসহ নানা পরিমাপে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে অর্জিত হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের সম্মানজনক স্বীকৃতি মিলেছে সময়ে।

জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বাধীন বাংলাদেশে তার প্রথম ভাষণে বলেছিলেন, স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না, যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়, স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি দেশের যুবক যারা আছে তারা চাকরি না পায়। জাতির পিতার আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রথম ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হলেও আয়বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমবর্ধমান হারে। উপরের দিকে শতকরা ১০ জনের আয়ের সঙ্গে নিচের দিকের শতকরা ৪০ জনের আয় ব্যবধান শুধু প্রসারিতই হচ্ছে। ১৯৯১-৯২ সালের পালমা অনুপাত দশমিক ৬৮ থেকে বেড়ে ২০১৬ সালে হয়েছে দশমিক ৯৩। পশ্চাত্পদ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ) শ্রমঘন, রফতানিমুখী শিল্পভিত্তিক উন্নয়ন, ) কৃষি বহুমুখীকরণ, ) ক্ষুদ্র মাঝারি কুটির শিল্পের উন্নয়ন, ) আধুনিক সেবা খাতের উন্নয়ন, ) অপ্রধান সেবা খাতের রফতানি বৃদ্ধিকরণ, ) আইসিটিনির্ভর শিল্পোদ্যোগ এবং ) বিদেশে কর্মসংস্থান জোরদারকরণ সাতটি বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তৃতীয় অধ্যায়ে বিধৃত হয়েছে মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনীতির কৌশল। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা, চলমান কভিড-১৯-এর বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবেলা এবং রূপকল্প ২০৪১-এর জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যের সহিত সাযুজ্যকরণ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আগামী পাঁচ বছরের বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত গতি-প্রকৃতি বর্ণিত হয়েছে তৃতীয় অধ্যায়ে।

সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি উপাদানের ব্যাপ্তি অনেক বিস্তৃত। অর্থনীতির শাখায় জাতীয় বা আঞ্চলিক অর্থনীতির সামগ্রিক কর্মদক্ষতা, কাঠামো আচরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়। জাতীয় উৎপাদন, ভোগ, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থাবস্থার মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা হয় অর্থনীতির শাখায়। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থাবস্থা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিস্তৃত কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে তৃতীয় অধ্যায়ে।

২০২৫ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য হার দশমিক শতাংশে এবং দারিদ্র্য হার ১৫ দশমিক শতাংশে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার চতুর্থ অধ্যায়ে। শ্রদ্ধেয় আকবর আলি খান তার বাংলাদেশে বাজেট: অর্থনীতি রাজনীতি বইয়ে বাংলাদেশে বাজেট প্রণয়ন বাস্তবায়নের বিভিন্ন দুর্বল দিক নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন। তথাপি দরিদ্র নিরসনে বিগত দিনে সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশে ৫০ বছর ধরে দারিদ্র্য নিরসনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে ৭০ শতাংশের বেশি লোক দরিদ্র ছিল। ২০২০ সালে হার ২৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তার পরও প্রায় ১৭ কোটি লোকের দেশে এখনো সাড়ে তিন কোটি লোক বাস করছে দারিদ্র্যসীমার নিচে। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে পশ্চাত্পদ জেলাগুলোয় সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচিকে উচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান এবং সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো, রফতানিমুখী শিল্পায়ন, কৃষির বহুমুখীকরণ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, নগরের বিস্তার, দক্ষ জ্বালানি অবকাঠামো, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, বাজেটে শিক্ষা স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ইত্যাদি কৌশলগত কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

বিনিয়োগ ছাড়া কোনো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবতা হলো, দেশে বিনিয়োগের উত্তম পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস মোতাবেক বাংলাদেশের অবস্থান ১৯০ দেশের মধ্যে ১৬৮তম! বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পঞ্চম অধ্যায়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সময়ে বিনিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মোট ৬৪ হাজার ৯৫৯ দশমিক বিলিয়ন টাকা, যার ৮১ দশমিক শতাংশ (৫২৬৫৮. বিলিয়ন টাকা) হবে বেসরকারি খাতে আর ১৮ দশমিক শতাংশ (১২৩০১. বিলিয়ন টাকা) হবে সরকারি খাতে। পারস্পরিক নির্ভরশীল বিশ্বে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে পিছিয়ে আছে এখানেও। ২০১৮ সালে চীনে ১৩৯ বিলিয়ন ডলারের এফডিআইয়ের বিপরীতে বাংলাদেশে এসেছে মাত্র বিলিয়ন ডলারের। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রথম ভাগের ষষ্ঠ অধ্যায়ে পরিবীক্ষণ মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জাতীয় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সামষ্টিক খাতভিত্তিক ১৫টি ক্ষেত্র পরিবীক্ষণ মূল্যায়নের লক্ষ্যে এসডিজিকে ধারণ করে ১০৪টি সূচক-সংবলিত একটি ফলাফলভিত্তিক পরিবীক্ষণ মূল্যায়ন কাঠামো সংযোজন করা হয়েছে পরিকল্পনা দলিলে।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার দ্বিতীয় অংশে মোট ১৪টি অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে খাতভিত্তিক উন্নয়ন কৌশল লক্ষ্যমাত্রা জাতীয় বাজেটের সঙ্গে সংগতি রেখে ১৩টি সেক্টরে (প্রতিরক্ষা ব্যতীত) খাতভিত্তিক কৌশল, কর্মসূচি, নীতিগুলো অর্থ বরাদ্দ বর্ণনা করা হয়েছে দ্বিতীয় ভাগে।

প্রথম দ্বিতীয় খাত হিসেবে রাখা হয়েছে জনপ্রশাসন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সুশাসন নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের হিসাব। জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়ন, বিচারক নিয়োগে মেধাভিত্তিক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা মামলার জট হ্রাসে পর্যাপ্তসংখ্যক বিচারক নিশ্চিতকরণ, -বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচার প্রশাসন বিচারিক কার্যক্রমে ডিজিটাইজেশন প্রবর্তন, অর্থনৈতিক সুশাসন উন্নত করা, ব্যাংকিং খাতের কার্যকারিতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, স্থানীয় সরকারের সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের এডিপি খাতে চলতি মানে ২৭৪ দশমিক বিলিয়ন টাকা ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে।

তৃতীয় ভাগে বর্ণনা করা হয়েছে রফতানিমুখী প্রবৃদ্ধিসহ ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের উন্নয়ন কৌশল। বাণিজ্যনীতি হিসেবে রফতানিমুখী শিল্পায়নের ওপর গুরুত্বারোপ, বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা, শ্রম উপকরণ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, বাণিজ্য বহুমুখীকরণ এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

রফতানি বৃদ্ধি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে সহায়ক পরিবেশ তৈরি, শুল্ক নীতিগুলোর সমন্বয় সাধন, নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করা, বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রযুক্তি হস্তান্তর, নমনীয় হারে ঋণ বীমার সুযোগ প্রদান, কর মওকুফ শুল্ক যৌক্তিকীকরণ ইত্যাদি খাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৪৬ দশমিক বিলিয়ন টাকা এডিপি হিসেবে বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সেবা খাতসংশ্লিষ্ট কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে তৃতীয় ধাপে। উন্নত দেশেগুলোয় জিডিপিতে সেবা খাতের অবদান থাকে ৭০-৮০ শতাংশ, কৃষি খাতের অবদান শূন্যের কাছাকাছি। যেমন ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপিতে কৃষি, শিল্প সেবা খাতের অবদান ছিল যথাক্রমে শূন্য দশমিক , ২১ দশমিক এবং ৭৭ দশমিক শতাংশ। যেখানে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে জিডিপিতে কৃষি, শিল্প সেবা খাতের অবদান যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৬১, ৩৪ দশমিক ৫৭ এবং ৫১ দশমিক ৮২ শতাংশ। দেশ যত উন্নত হয়, কৃষি খাতে অবদান কমতে থাকে, বাড়তে থাকে সেবা খাতের গুরুত্ব।  আগামী পাঁচ বছরেও উন্নতির পথে পথে আমাদের অর্থনীতির রূপান্তর হবে কৃষি থেকে শিল্প খাতে। লক্ষ্যে অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ, শ্রমশক্তির দক্ষতা মান উন্নয়ন, উৎপাদনের সব পর্যায়ে উদ্ভাবন বিস্তারে গবেষণা, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় দক্ষতা উন্নয়ন, সেবা অর্থায়নে সহজ অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণ, প্রতিটি উপজেলায় টিটিসি স্থাপন, সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি অর্জন গুণগত মান বৃদ্ধিকল্পে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণ ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়। [চলবে]

 

. মনসুর আলম খান: জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন