দাতব্য খাতে আরো ২৭০ কোটি ডলার দান করার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বের ধনী নারীদের অন্যতম ম্যাকেঞ্জি স্কট। নিজের ব্লগপোস্টে তিনি জানিয়েছেন, এমন কাউকে এ অর্থ দিতে তিনি আগ্রহী, যাদের দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করা হয়েছে, বঞ্চিত করা হয়েছে। এজন্য এখন পর্যন্ত ২৮৬টি সংস্থাকে তিনি চিহ্নিত করেছেন, যারা জাতিগত বৈষম্য, কলা ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করে।
ম্যাকেঞ্জি স্কট অ্যামাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী।
তার মূল সম্পদের বেশির ভাগই এসেছে ২০১৯ সালে জেফ বেজোসের সঙ্গে বিচ্ছেদের মাধ্যমে।
গত ডিসেম্বরে প্রথম নিজের দাতব্য কাজে অর্থসহায়তার কথা প্রকাশ করেন তিনি।
সে সময় তিনি জানান, চার মাসেই ৪০০ কোটি ডলার দান করেছেন তিনি।
বিপুল পরিমাণ এ অর্থ নারী নেতৃত্বাধীন বেসরকারি সংস্থা, খাদ্য ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার উন্নয়নে দিয়েছেন।
এত বড় অংকের দান করার পরেও তিনি এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনীদের তালিকায় ২২ নম্বরে আছেন।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ম্যাকেঞ্জি স্কটের সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার।
সর্বশেষ ব্লগপোস্টে ম্যাকেঞ্জি লিখেছেন, তিনি তার সম্পদের পুনর্বিতরণে আগ্রহী।
বর্তমান স্বামী বিজ্ঞানের শিক্ষক ড্যান জেউইটের সঙ্গে পরামর্শ করে কাজটি করতে চান তিনি।
এ সম্পদের যেন সবচেয়ে ভালো ব্যবহার হয়, সেদিকে লক্ষ রাখবেন বলেও জানান তিনি।
২০১৯ সালেই ম্যাকেঞ্জি প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করেন যে তার বেশির ভাগ সম্পদ জনকল্যাণে ব্যায় করবেন।
বিশ্বের বহু ধনীই এখন তাদের সম্পদের একটি বড় অংশ দাতব্য কাজে ব্যয় করেন।
এর শুরুটা হয়েছিল মূলত ২০১০ সালে।
যখন বিল ও মেলিন্ডা গেটস, ওয়ারেন বাফেট, জর্জ লুকাসের মতো অতিধনীরা নিজেদের সম্পদের বড় অংশ দিয়ে দাতব্য সংস্থা গড়ে তোলেন।