চীনের ধনকুবের ও আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা এখন কিছুটা নিভৃত জীবন কাটাচ্ছেন।
আপাতত প্রচারের আলোয় আসতে আগ্রহী নন তিনি।
গত নভেম্বরে চীনা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আলিবাবার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর পর থেকেই জ্যাক মাকে প্রকাশ্যে খুব কম দেখা যাচ্ছে।
খবর বিবিসি।
চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবার সহপ্রতিষ্ঠাতা জো সাই জানিয়েছেন, রোজই জ্যাক মার সঙ্গে কথা হয় তার।
জ্যাক মা খুব ভালো আছেন।
প্রিয় কাজ ছবি এঁকে সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
একটা সময় পর্যন্ত জ্যাক মা ছিলেন চীনের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি।
কিছু বিশ্লেষক বলছেন, আলিবাবার মতো একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এতই ক্ষমতাশালী হয়ে উঠছিল যে তাকে ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেয় বেইজিং।
পাশাপাশি জ্যাক মার স্পষ্টভাষীতাও ক্ষমতাসীনদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠছিল।
প্রযুক্তিবিষয়ক এক সম্মেলনে জ্যাক মা চীনের ঐতিহ্যবাহী ব্যাংকগুলোর সমালোচনা করেন।
তিনি সেখানে ডিজিটাল ব্যাংকিং পদ্ধতির প্রশংসা করেন।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে চীনের আর্থিক খাতেরও নানা সমালোচনা করেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে আর্থিক প্রযুক্তি খাতের শিল্পগুলোর ওপর কঠোর নীতি আরোপ করে চীন।
দেশটির সবচেয়ে বড় ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে আলিপের কার্যক্রম সঠিক নয় বলে দাবি করা হয়।
আলিপে মূলত আলিবাবার শাখা প্রতিষ্ঠান।
তাদের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনেরও অভিযোগ আনা হয়।
তবে ধারণা করা হয়, চীনা আর্থিক খাত নিয়ে জ্যাক মার সমালোচনাই এসবের পেছনের কারণ।
একপর্যায়ে আলিবাবার বিরুদ্ধে প্রতিযোগতা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে চীন।
বলা হয়, বছরের পর বছর ধরে বাজারে নিজের অবস্থানের অপব্যবহার করেছে আলিবাবা।
সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ২৮০ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়।
এর পর থেকেই মূলত আড়ালে চলে যান জ্যাক মা।