ছোট পর্দার নতুন মুখ তাসনিয়া ফারিণ।
নতুন হলেও চমক দেখিয়েছেন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’-এ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন।
কাজের অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনার কথা বলছিলেন বণিক বার্তাকে।
সাক্ষাত্কার নিয়েছেন মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ
কেমন আছেন?
ভালো।
গতকাল আমার অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান-এর ট্রেইলার রিলিজ হলো।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ।
এজন্যই ভালো আছি।
কেমন সাড়া পেলেন?
সত্যি বলতে অনেক বেশি সাড়া পেয়েছি।
আমার দূর-দূরান্তের বন্ধু যাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ ছিল না এবং যারা কোনোভাবেই মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত না তারাও ফোন করে এটা নিয়ে কথা বলেছে।
ট্রেইলার শেয়ার করেছে।
এ থেকে বুঝতে পারছি ট্রেইলারটা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যানে আপনার চরিত্র সম্পর্কে বলুন।
আমার চরিত্রের নাম সাবিলা।
একজন কর্মজীবী নারী, যে কর্মক্ষেত্রে নিপীড়নের শিকার হয়।
শুধু পুরুষ সহকর্মীদের থেকেই নয়, নারী সহকর্মীরাও তাকে নানাভাবে নিপীড়ন করে।
ট্রেইলারে তো একটা দুর্ভোগের দিক দেখা গেছ।
তার আরো দুর্ভোগের ঘটনা আছে ব্যক্তিজীবনে।
সাবিলা হয়ে ওঠার প্রস্তুতি কেমন ছিল?
সত্যি বলতে সাবিলার যে জীবনযাপন আমি মোটেও সেই জীবনযাপনে অভ্যস্ত নই।
ফলে সাবিলাকে আমার ভেতরে ধারণ করতে হয়েছে।
মনেপ্রাণে সাবিলা হয়ে উঠতে হয়েছে।
সাবিলা একজন কর্মজীবী নারী।
তার বয়স ২৬-২৭ বছর।
সাবিলা হওয়ার জন্য আমাকে নয় কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছে।
সে বাসে যাতায়াত করে।
আমি শুটিংয়ের আগে লোকাল বাস জার্নি করেছি।
বাড়তি ওজন কি আবার কমিয়ে ফেলেছেন?
পুরোপুরি কমাইনি।
তিন-চার কেজি রেখে দিয়েছি।
যাতে আমাকে আরেকটু ম্যাচিউর দেখায়।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
খুবই ভালো।
কাজের ক্ষেত্রে ফারুকী ভাই খুবই অর্গানাইজড।
কাজের বাইরেও ফারুকীর কোন দিকটা আপনার চোখে পড়েছে?
ফারুকী ভাইয়ের জীবনযাপন ও দর্শন খুবই পোয়েটিক।
অসাধারণ মাণবিক গুণাবলিসম্পন্ন একজন মানুষ তিনি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন, সাবিলা চরিত্রে ফারিণকে খুঁজে পাওয়াই ছিল এই ওয়েব সিরিজ নির্মাণের সবচেয়ে কঠিন কাজ। কেন বললেন এটা?
সাবিলা চরিত্রটা খুবই চ্যালেঞ্জিং।
ফারুকী ভাই অনেক শিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
অনেক যাচাই-বাছাই করেছেন।
এত যাচাই-বাছাইয়ের পর তিনি আমাকে নির্বাচিত করবেন সেটা ভাবতেও পারিনি আমি।
ফারুকীর পরিচালনা এবং জি ফাইভের মতো বড় ব্যানারে কাজ করতে চাপ বোধ করছিলেন কি?
শুটিংয়ে এ বিষয়টা আমার মাথায়ই আসেনি কখনো।
ফলে চাপমুক্ত হয়ে কাজ করতে পেরেছি।
আর আমি তো চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলাম, এমন হয়েছে স্ক্রিপ্টও দেখা লাগছে না।
সাবিলা এ জায়গায় থাকলে কী বলত, তাই ডায়ালগে চলে এসেছে।
চাপের কিছুই বুঝিনি।
করোনার ভেতর শুটিং করলেন। শুটিং সেটের পরিবেশ কেমন ছিল?
আমাদের খুব বেশি সমস্যা হয়নি।
আর সৌভাগ্যক্রমে এ সিরিজ শুটিংয়ের সময় করোনার প্রাদুর্ভাব কম ছিল।
ফারুকী ভাই সবকিছু দারুণভাবে গুছিয়ে করেছেন।
সুরক্ষা মেনে কাজ করেছি।
খুব বেশি সমস্যা হয়নি আমাদের।
চলচ্চিত্রে আপনাকে কবে দেখা যাবে?
আমি সচেষ্ট থাকব কোয়ালিটির ব্যাপারে।
যে কাজটা করছি, এর চেয়ে ভালো কিংবা এই মানের না হলে কাজ করব না বলে ঠিক করেছি।
সোমবার ট্রেইলার প্রকাশ হলো। এতক্ষণে তো সিনেমার প্রস্তাব পাওয়ার কথা?
সোমবার বিকালেই একটা সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি।
আজও একটা পেলাম।
তাহলে সিনেমায় কাজ করছেন?
যে দুটো সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি, মনে হয় না এগুলো করা হবে।
আমি একটু দেখে-শুনে এগোতে চাই।
বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ততা?
গত ঈদে যেহেতু কাজ করতে পারিনি।
এবার ঈদে কয়েকটি নাটকে কাজ করব।
আপাতত এগুলো নিয়েই ব্যস্ত।
পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো ব্র্যান্ডের খোঁজ করেন?
না।
আমি খুবই মিতব্যয়ী একটা মেয়ে।
ব্র্যান্ডের চেয়ে আরামকে প্রাধান্য দিই।
শখের বশে অনেক কেনাকাটা কখনো করা হয় না।
তাহলে আপনার কোনো শখ নেই?
একেবারে নেই তাও বলা যায় না।
আমি গান করি।
গানের ইনস্ট্রুমেন্ট কেনার শখ আছে বলতে পারেন।