করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বিকালে বিষয়টি জানানো হয়। এর মধ্য দিয়ে দেশে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত টিকার সংখ্যা দাঁড়াল ছয়টিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেলজিয়ামের জ্যানসেন-সিলাগ ইন্টারন্যাশনাল এনভি উৎপাদিত কভিড-১৯-এর টিকা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃ, নবজাতক, শিশু ও কৈশোর স্বাস্থ্যের (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) লাইন ডিরেক্টরের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস মূল্যায়ন করে টিকাটি জরুরি ভিত্তিতে (ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন) ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশে টিকাটি আমদানির ক্ষেত্রে স্থানীয় এজেন্ট হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসি অ্যান্ড এএইচ।
ঔষধ প্রশাসন বলছে, ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাটি ব্যবহারযোগ্য। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সসীমার ব্যক্তিদের টিকাটি দেয়া হবে। এক ডোজের টিকাটি ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।
এর আগে গত ১২ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য টিকাটির অনুমোদন দেয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে আরো পাঁচটি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এগুলো হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, রাশিয়ার স্পুিনক-৫, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা এবং বায়োএনটেক-ফাইজার উদ্ভাবিত টিকা ‘কমিরনাটি’।