এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে বিকল্প চিন্তা —শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া না যায় এবং এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে বিকল্প মূল্যায়নের চিন্তাভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তই রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে গতকাল শিক্ষামন্ত্রী কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছরের শেষে এবং বছরের শুরুতে সংক্রমণের হার আমরা কমিয়ে আনতে পেরেছিলাম। এখন করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ শনাক্তের হার শতাংশের নিচে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো একটা পরিস্থিতি হয়। কিন্তু এখন তো অনেক বেশি। সংক্রমণের হার ১৩ শতাংশের বেশি। স্বাস্থ্যবিধি মানলে সংক্রমণ কমবে। আমরা তো মানছি না। আর মানছি না বলেই বারবার খারাপের দিকে যাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমরা দেখেছি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। এসএসসির জন্য ৬০ দিন এইচএসসির জন্য ৮৪ দিনের অ্যাসাইনমেন্ট আমরা দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাব, আরো কিছুদিন হয়তো দেখতে হবে। যদি দেখি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একেবারেই খোলা সম্ভব হচ্ছে না, তখন আমরা বিকল্প অনেক কিছুই চিন্তা করে রেখেছি। কী কী সিনারিও হতে পারে তারও চিন্তা করছি। সব রকমের সিনারিও চিন্তা করে কী কী সম্ভাব্য বিকল্প থাকতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করছি। যদি পরীক্ষা নেয়া না যায়, তাহলে বিকল্প কীভাবে মূল্যায়ন হতে পারে, সেগুলোও আমরা ভাবছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক রকম চিন্তা আছে। কিন্তু পরীক্ষা হবে কি হবে না, মুহূর্তে বলে দিতে পারছি না। হয়তোবা শিগগিরই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে, পরীক্ষা নিতে পারব কি পারব না। সেটা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু যেটাই হোক শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত হবে। পরীক্ষার চাপ রেখে আনন্দের মধ্য দিয়ে কীভাবে পরীক্ষার্থীরা শিখবে, সেটা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অ্যাসাইনমেন্ট এক ধরনের পরীক্ষা। এটা কন্টিনিউয়াস অ্যাসেসমেন্টের একটি পার্ট। আমরা অনেক রকম মূল্যায়নের চেষ্টা করছি।

সময় শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়া অব্যাহত রাখে অনলাইন গেমসে আসক্ত হয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে নজর রাখতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক . সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন