জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় তৈরি ও বাদ পড়া খেলোয়াড়দের সুরক্ষার লক্ষ্যে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের পাশাপাশি তিন সংস্করণের জন্য একটা ‘ছাঁয়া জাতীয় দল’ গড়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিসিবি, যার নাম হবে ‘বাংলাদেশ টাইগার্স’।
বাংলাদেশ ‘এ’ দল অনেকদিন ধরে অকার্যকর। ফলে জাতীয় দল থেকে যারা বাদ পড়েন তাদের যাওয়ার জায়গা সীমিত। এ কারণেই জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের প্রাথমিক অভাব পূরণের উদ্দেশে সৃষ্টি করা হচ্ছে ছাঁয়া জাতীয় দল। প্রত্যেক পজিশনের ক্রিকেটারের বিকল্প থাকবে এই শ্যাডো বা ছাঁয়া জাতীয় দলে।
গতকাল বিসিবির সভায় বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শ্যাডো জাতীয় দল গঠন নিয়ে বলেন, কিছুদিন আগে আমরা একটা শ্যাডো দলের কথা আপনাদের বলেছিলাম, আজ বোর্ডে যার অনুমোদন হয়ে গেল। এর নাম হবে বাংলাদেশ টাইগার্স। জাতীয় দলে যারা জায়গা পায় না, উদাহরণ হিসেবে ধরেন, কখনো ইমরুল পায় নাই, সৌম্য থাকে না স্কোয়াডে, ওরা নাকি অনুশীলন করারও সুযোগ পায় না। আমাদের ফ্যাসিলিটিগুলা নাকি পায় না। এটা তো একটা বড় প্রবলেম। ওরা কোথায় প্রাকটিস করবে। তাদের যদি কোনো ঘাটতি থাকে, কেউ যদি ড্রপ হয় তাহলে ও শিখবে কোথায়? এইটা একটা ইস্যু ছিল।
তিনি জানান, জাতীয় দলের প্রধান কোচের সমন্বয়ে বছরব্যাপী চলবে শ্যাডো জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ। তার কথায়, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সারাবছর রাউন্ড দ্য ক্লোক এখানে ট্রেনিং চলবে। মূলত স্থানীয় কোচদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ চলবে। হেড কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী এটা চলবে।
এই শ্যাডো দল থেকে কীভাবে জাতীয় দলে সুযোগ পাবে কোনো খেলোয়াড় সেই ব্যাখ্যায় পাপন বলেন, ধরেন ওপেনিংয়ে একটা প্লেয়ার সুযোগ পেল। সে খেলবে না বা ইনজুরিতে বা কোনো কারণে নাই। তখন আমরা একেকদিন একেকজনকে ট্রাই করি। আজ একে করি, কাল ওকে করি। আমাদের যদি রেডিমেড থাকতো। যদি দরকার হয় জাতীয় দলে তাহলে কে যাবে? কে কোন পজিশনে ওভাবে চিহ্নিত করে কোচ ট্রেনিং করা হবে।