অস্ট্রেলিয়ার স্বর্ণ উত্তোলন কমেছে।
এ বছরের শুরুতে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটির স্বর্ণ উত্তোলন ব্যাহত হয়।
ফলে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় উত্তোলন কমেছে নয় টন বা ১১ শতাংশ।
তবে উত্তোলন কমলেও চীনকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে উঠে আসার সম্ভাবনা দেখছেন দেশটির খাতসংশ্লিষ্টরা।
খবর মাইনিংউইকলিডটকম।
বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ স্বর্ণ উত্তোলক দেশ অস্ট্রেলিয়া।
দেশটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৭৪ টন স্বর্ণ উত্তোলন করেছে।
স্বর্ণ উত্তোলনবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সারবিটনের সহযোগী পরিচালক ড. সান্ড্রা ক্লোজ বলেন, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের তুলনায় কম স্বর্ণ উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
তবে এতে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় স্বর্ণ উত্তোলন প্রায় তিন টন বা ৪ শতাংশ কমেছে।
এটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।
ক্লোজ জানান, উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রথম প্রান্তিক অত্যন্ত ছোট।
এ সময় অন্যান্য প্রান্তিকের তুলনায় উত্তোলন কম হয়।
এছাড়া বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
তবে এ বছর অন্যান্য সময়ের তুলনায় দুর্যোগের রেশ কম ছিল বলেও জানান তিনি।
ফলে খাতটি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।
চীনা গোল্ড অ্যাসোসিয়েশনের উদ্ধৃতি দিয়ে ক্লোজ বলেন, বছরের প্রথম প্রান্তিকে শীর্ষ উত্তোলক চীন ৭৪ দশমিক ৪৪ টন স্বর্ণ উত্তোলন করেছে, যা অস্ট্রেলিয়ার উত্তোলনের তুলনায় পাঁচ হাজার আউন্স বেশি।
চীনের স্বর্ণ উত্তোলন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ কমেছে।
কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে উত্তোলন কমেছে বলে জানান উত্তোলকরা।