গাড়ির পাশাপাশি এয়ার ট্যাক্সি তৈরি করছে হুন্দাই মোটর ও জেনারেল মোটরস (জিএম)। ২০২৫ সালের মধ্যেই এয়ার ট্যাক্সি পরিষেবা চালুর আশা করছে দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান হুন্দাই।
অন্যদিকে মার্কিন গাড়ি নির্মার্তা জিএম জানিয়েছে, এয়ার ট্যক্সি পরিষেবা প্রযুক্তি ও নিয়ন্ত্রক বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং বাণিজ্যিকীকরণে পৌঁছতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
খবর রয়টার্স।
শূন্য কার্বন নিঃসরণ এ এয়ারক্রাফট হেলিকপ্টারের মতো উলম্বভাবে উড়তে ও নামতে এবং পণ্য বহন করতে পারে।
বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি উড়োজাহাজ ও গাড়ি নির্মাতারা এয়ার ট্যাক্সি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে এ উদ্যোগ থেকে মুনাফার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।
হুন্দাইয়ের বৈশ্বিক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জোসে মুনোজ বলেন, এয়ার ট্যাক্সি নিয়ে এর আগে ঘোষণা দেয়া সময়সীমার চেয়ে আমরা অনেক এগিয়ে গিয়েছি।
এর আগে তিনি ২০২৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এয়ার ট্যাক্সি পরিষেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তবে সম্প্রতি তিনি বলেন, ২০২৫ সালের আগেই এ পরিষেবা চালু হতে পারে।
আমরা এ বাজারকে একটি উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির সুযোগ হিসেবে দেখছি।
আমরা এ প্রযুক্তি বিকাশে ‘অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী’।
হুন্দাই বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সি তৈরি করছে।
এগুলো অত্যন্ত জনাকীর্ণ শহরে পাঁচ থেকে ছয়জনকে বহন করতে পারবে।
এয়ার ট্যাক্সি তৈরি করা অন্যান্য গাড়ি নির্মাতাদের মধ্যে রয়েছে, টয়োটা মোটর করপোরেশন, ডেইমলার এজি ও চীনের গিলি অটোমোবাইল।
জিএমের গ্লোবাল ইনোভেশন দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পামেলা ফ্লেচার বলেন, আমি মনে করি, এ খাতে দীর্ঘ পথ রয়েছে।
বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু হতে সম্ভবত ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
এটি খুব বর্ধনশীল খাত।
এক্ষেত্রে প্রযুক্তির পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গেও অনেক কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।
মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক মরগান স্ট্যানলি জানিয়েছে, এয়ার ট্যাক্সির বাজার ২০৪০ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৯ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে।
নাসার সাবেক প্রকৌশলী জয়ওয়ানের শিনের নেতৃত্বে এয়ার ট্যাক্সি বিভাগে হুন্দাই ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মুনোজ বলেন, হুন্দাইয়ের এয়ার ট্যাক্সি কেবল আবাসিক গ্রাহক নয়, বাণিজ্যিক কার্গো পরিবহনেও ব্যবহূত হবে।
আমরা বিশ্বাস করি, যানবাহনের পাশাপাশি আমরা পরিষেবাগুলোও বিকাশ করতে পারি।