আরো ৫০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩১৯

বণিক বার্তা অনলাইন

দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে গতকাল সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি। এর আগে গত ৯ মে সর্বোচ্চ ৫৬ জনের মৃত্যু হয়। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫১২টি পরীক্ষাগারে ২৩ হাজার ২৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ ৩ হাজার ৩১৯ জন রোগীর শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। আগের দিন ৩ হাজার ৫০ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ জন। 

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আজ পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ হাজার ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ ২ হাজার ২৪৩ জন রোগী সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৩ জনে।

একদিনে যারা মারা যাওয়া ৫০ জনের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ ও ২০ জন নারী। যাদের ৪৫ জন সরকারি, ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে, একজন বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। বিভাগভিত্তিক হিসাবে মৃতদের ৬ জন ঢাকা, ৬ জন চট্টগ্রাম, ১৫ জন রাজশাহী, ১৫ জন খুলনা, ১জন করে রংপুর ও বরিশাল বিভাগের এবং  তিনজন করে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন । এ পর্যন্ত মৃত ১৩ হাজার ২২২ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৫০৭ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ৭১৫ জন নারী।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ৩১ মে করোনা রোগীর সংখ্যা আট লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। করোনা রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১১ জুন মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ হাজার অতিক্রম করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল দৈনিক হিসাবে সর্বোচ্চ ১১২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন