মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

ঝুঁকি না নিয়ে স্থানীয়ভাবে লকডাউন দেয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো এলাকায় নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে ঝুঁকি না নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে লকডাউন ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সময় করোনাভাইরাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে স্থানীয় প্রশাসনকে লকডাউন ঘোষণার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে -সংক্রান্ত চিঠিও ইস্যু করা হয়েছে। আজকের বৈঠকে বিষয়টি আবার মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ যেন কোনো রকম ঝুঁকি না নেয়। স্থানীয় প্রশাসন যেখানে প্রয়োজন মনে করবে সেখানেই লকডাউন দিয়ে সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে এখন আর একইভাবে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে না। উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে দিনাজপুরে বাড়ছে। যশোরের দিকে কমে আসছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জেও কমে আসছে। তবে ঝুঁকি মনে করলে স্থানীয়ভাবে লকডাউন করে দিতে পারবে প্রশাসন। অর্থাৎ যদি কোনো এলাকার স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি মনে করেন যে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে, তাহলে তা প্রতিরোধে তারা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৬ জুন পর্যন্ত বিদ্যমান আছে। বিধিনিষেধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। আরো দুদিন সময় আছে। লকডাউনে সরকারি সব অফিস খোলা রাখার বিষয়ে তিনি জানান, এক্ষেত্রে লোকবল ভাগ করে দেয়া হয়েছে। একদিনে অর্ধেকের বেশি কর্মী অফিসে আসেন না।

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত এপ্রিল দেশব্যাপী লকডাউন বা বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাড়ানো হয়েছে বিধিনিষেধের মেয়াদ। কখনো নিয়ম কিছুটা শিথিল হয়েছে, কখনো আরো কঠোর। তবে এখন পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন