বর্তমানে কভিড, জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়োডাইভারসিটি গোটা বিশ্বকে ভাবিয়ে তুলেছে। কভিডকালে আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি প্রকৃতি আমাদের কতটা সহায়ক। সরকার প্রকৃতিতে বিনিয়োগ করে কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, এছাড়া ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে অবকাঠামোর অপর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনাগত দিকসহ বিভিন্ন কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যেও অন্যতম। ফলে পরিবেশ সংরক্ষণ টেকসই উন্নয়ন কৌশলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পরিবেশ স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মসূচি কমিটির উদ্যোগে গতকাল সকালে ‘জাতীয় বাজেট ২০২১-২২: স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।
প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও রোগ নিয়ন্ত্রণের সাবেক পরিচালক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা এবং বাপার পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ড. এএম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার পরিবেশ স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মসূচি কমিটির সদস্য-সচিব লেখক ও গবেষক বিধান চন্দ্র পাল।
আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ অভিমত ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান, জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ও বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, কৃষি অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহম্মাদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাপার কোষাধ্যক্ষ মহিদুল হক খান, বাপা সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবির, নির্বাহী সদস্য ফরিদা আক্তার, আতাউর রহমান মিটন ও বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড পার্টির অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান।
মূল প্রবন্ধে বিধান চন্দ্র পাল বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা একটা বহুমাত্রিক বিষয়। ফলে পরিবেশকে বাজেটে শুধু গুরুত্ব দিলেই হবে না। পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টিও সামগ্রিকভাবে অগ্রাধিকার নিরূপণের ক্ষেত্রে স্পষ্ট করে তোলার প্রয়োজন আছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. এএম জাকির হোসেন বলেন, পরিবেশ ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা ঠিক হবে না। কয়লা, পেট্রল বা পলিথিন ও প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে যে গ্যাস তৈরি হয় তা যে শুধু বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করে তা নয়, তা মানুষের শরীরে ক্যান্সারের অন্যতম একটি কারণ।