মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমাদের প্রাণিসম্পদ খাতে এত উন্নতি হয়েছে যে বিগত দিনে কোরবানির সময় ভারত ও মিয়ানমার থেকে যে গরু আমদানি করা হতো, এখন আর করার প্রয়োজন হয় না।
করোনায় যেন খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছি।
গতকাল দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খামারির ২৫টি স্টলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের গো-খাদ্য ও ভিটামিন প্রদান করা হয়।
মন্ত্রী পরে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পিরোজপুরে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়নবিষয়ক অবহিতকরণ সভায় যোগ দেন।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য দপ্তর এবং দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, গোপালগঞ্জের আয়োজনে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার এবং প্রকল্প বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এসএম আশিকুর রহমান।
অবহিতকরণ সভায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, মৎস্য কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা, মৎস্য খামারি ও মৎস্য চাষী, জেলেসহ বিভিন্ন পেশার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মন্ত্রী দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক ও ঝিনুক সংরক্ষণের গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক ও ঝিনুকের প্রজনন বৃদ্ধি করে এবং কৃত্রিমভাবে চাষাবাদের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর ব্যাপক গবেষণা করে এরই মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া দেশীয় প্রজাতির মাছের রেণু ও পোনা তৈরি করছে, যা দেশের খাল-বিল, নদী, হাওর-বাঁওড় ও জলাশয়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
এছাড়া কৃত্রিমভাবে শামুক ও ঝিনুকের চাষাবাদও শুরু হয়েছে।
