র্যানসমওয়্যার অপরাধীদের দাবীকৃত মুক্তিপণ হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার সমপরিমাণ বিটকয়েন দিয়েছে জেবিএস ইউএসএ।
অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের প্লান্টে সাইবার হামলার পর এ মুক্তিপণ দেয় বিশ্বের বৃহত্তম মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানটি।
খবর ব্লুমবার্গ।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, গত সপ্তাহে তাদের বেশির ভাগ প্লাট পুনরায় পরিচালন শুরু করার পর তারা এ অর্থ পরিশোধ করে।
হ্যাকারদের দাবীকৃত অর্থ পরিশোধের ব্যাপারে তারা নিজস্ব প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে।
কোনো তথ্য চুরি কিংবা হারিয়ে যাবে না, এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই হ্যাকারদের দাবীকৃত অর্থ পরিশোধ করা হয়।
বিবৃতিতে জেবিএস ইউএসএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আন্দ্রে নোগুয়েইরা জানান, এ অর্থ পরিশোধ করার সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক কঠিন ছিল।
বিশেষ করে তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আরো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারটি।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে জেবিএসের নয়টি মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্লান্টে সাইবার আক্রমণ হয়েছিল।
এ আক্রমণের ফলে সংস্থাটির অন্যান্য সেবাও বাধাগ্রস্ত হয়।
এ আক্রমণের জন্য এফবিআই রাশিয়াভিত্তিক র্যানসমওয়্যার গ্রুপ আরইভিল ও সোডিনোকিবিকে দায়ী করেছে।
দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আশঙ্কাজনক হারে সাইবার হামলা বাড়ছে।
সম্প্রতি জেবিএস মাংস প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানি ও কলোনিয়াল পাইপলাইনের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।
কলোনিয়াল পাইপলাইনে আক্রমণের ফলে দীর্ঘ এ গ্যাস সরবরাহকারী লাইনটিতে সংকট তৈরি হয়।
এ ঘটনা সরকারি ও বেসরকারি খাতে সাইবার নিরাপত্তার দুর্বলতা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনকে একটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেয়।
সরবরাহ লাইন আক্রান্ত হওয়ার পর হ্যাকারদের ৪৩ লাখ ডলার সমপরিমাণ বিটকয়েন মুক্তিপণ পরিশোধ করে কলোনিয়াল পাইপলাইন কর্তৃপক্ষ।
যদিও ফেডারেল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তারা এ মুক্তিপণের প্রায় ২০ লাখ ডলার পুনরুদ্ধার করেছে।
সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান চ্যানেলিসিসের মতে, গত বছর র্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হয়ে ভুক্তভোগীরা প্রায় ৪১ কোটি ২০ লাখ ডলার সমপরিমাণ ডিজিটাল মুদ্রা মুক্তিপণ হিসেবে পরিশোধ করেছেন।
তবে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কারণ অনেক ভুক্তভোগীই এ ধরনের হামলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন না।
