অর্থনীতি দ্রুত প্রসারের পাশাপাশি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থানের হার।
কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী সময়ে দেশটির অর্থনীতি প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুত পুনরুদ্ধার হওয়ায় এ খাতের উন্নয়ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
খবর ব্লুমবার্গ।
দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর দেশটিতে ৬ লাখ ১৯ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আলাদা এক বিবৃতিতে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা মহামারীর কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তার ৮০ শতাংশই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
তবে গত মাসে কোরিয়ায় বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৭ থেকে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসার পূর্বানুমান করেছিলেন।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, কোরিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় চাঙ্গা হয়ে উঠলেও বেসরকারি খাত থেকে আরো অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার প্রয়োজন।
করোনা-পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন আরো আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা জানিয়েছে।
করোনার কারণে যেসব খাত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব খাতের জন্য অতিরিক্ত আরো একটি তহবিল পাস হলে সেটি চাকরির বাজার পুনরুদ্ধারে আরো সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মহামারীর সময় ব্যবসা খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার চলতি মাসে ষষ্ঠ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী হং নাম কি।
কনজিউমারদের কার্যক্রম এবং রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও করোনা সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা- পূর্বাবস্থা ফিরে আসতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
আর্থিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডিবির নির্ধারিত আয় বিশ্লেষক পার্ক সাং উ বলেন, কর্মসংস্থানক্ষেত্র পুরোপুরি পুনরুদ্ধারে আরো সময় লাগবে।
সুদহার পরিবর্তনের বিষয়ে ব্যাংক অব কোরিয়া কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরো বেশকিছু বিষয় বিবেচনা করবে।
তবে চলতি বছরের বাকি সময় গ্রাহক পর্যায়ের ব্যয়ে ধীরগতি থাকবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোরিয়ার অর্থনীতিতে ১ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা গবেষকদের পূর্বানুমানকৃত ১ দশমিক ৬ শতাংশের চেয়ে বেশি।
কর্মসংস্থানের তথ্যানুযায়ী, কভিড-১৯ সংকট খুচরা ও পাইকারি বিক্রির বাজারকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ খাতে ১ লাখ ৩৬ হাজার কর্মসংস্থান কমে গেছে। মে মাসে হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে মাত্র চার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে আগের মাসে এর পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার। এছাড়া নির্মাণ খাতে ১ লাখ ৩২ হাজার এবং উৎপাদন খাতে মাত্র ১৯ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।