সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক শেয়ারদর ও লেনদেন বৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই ফরচুন সুজ লিমিটেডের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক চিঠির জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১ জুন ফরচুন সুজের শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২১ টাকা ৬০ পয়সা।
এর পর থেকেই শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করে।
সর্বশেষ গতকাল শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ৩৪ টাকা ৪০ পয়সা।
অন্যদিকে লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৩১ মে কোম্পানিটির মোট ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
৩ জুন যা ৮৭ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৬টি দাঁড়ায়।
আর সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার ১৫৯টি শেয়ার লেনেদন হয়েছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির
শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬১ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে লোকসান ছিল ৪৩ পয়সা।
৩১ মার্চ ২০২১ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৭০ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ফরচুন সুজ।
এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত এবং ৫ শতাংশ বোনাস সব শেয়ারহোল্ডারকে দেয়া হয়।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮০ পয়সা।
৩০ জুন ২০২০ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৬৩ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য পূর্বঘোষিত ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের পরিবর্তে উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে অন্য শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ ও সব ধরনের শেয়ারহোল্ডারদের ১৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ফরচুন সুজ লিমিটেড।
কোম্পানিটির নবম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ লভ্যাংশের অনুমোদন দেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ ও শেয়ারহোল্ডাররা।
সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
তবে এজিএমে এ লভ্যাংশ পরিকল্পনায় সংশোধন এনে ২ শতাংশ নগদ ও ১৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়।