বিএসআরএমের একীভূত হওয়ার বিষয় অনুমোদন বিএসইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএসআরএম গ্রুপের অতালিকাভুক্ত কোম্পানি বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেড তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেড একীভূত হওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল বিএসইসির ৭৭৬তম কমিশন সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে

কমিশন সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একীভূত হওয়ার মাধ্যমে বিএসআরএম লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ২৩৬ কোটি লাখ টাকা থেকে বেড়ে ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা হবে এক্ষেত্রে বিএসআরএম লিমিটেড থেকে বিএসআরএম স্টিল মিলসের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ টাকা মূল্যমানের ৩৯ কোটি ৪৪ লাখ শেয়ারের বিপরীতে কোটি ২৫ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে কমিশন শেয়ারের বিনিময় রেশিও ১ঃ০.২৮৮ হিসেবে শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন প্রদান করে

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বিএসআরএম লিমিটেড বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নেয় সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেড তার মূল কোম্পানি বিএসআরএম লিমিটেডের সঙ্গে একীভূত হবে পর্ষদের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সম্মতি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয় হাইকোর্ট কোম্পানি দুটিকে একীভূত হওয়ার প্রাথমিক অনুমতি দেন এবং শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে বলেন পরবর্তী সময়ে বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নেয় বিএসআরএম লিমিটেড এর ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর কোম্পানি দুটির একীভূতকরণের বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে আদেশ জারি করেন হাইকোর্ট সেই আদেশ অনুসারে ফেব্রুয়ারি থেকে এক হয়ে কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি দুটির পর্ষদ

বিএসআরএম স্টিল মিলসের ৪৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিএসআরএম লিমিটেড বাকি ৫৫ দশমিক শূন্য শতাংশ মালিকানার বিপরীতে শেয়ার ইস্যু করবে বিএসআরএম লিমিটেড

এর আগে ২০১৭ সালে বিএসআরএম গ্রুপের আরেক তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের সঙ্গে বিএসআরএম আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি লিমিটেডকে একীভূত করা হয়

অন্যদিকে একই গ্রুপভুক্ত কোম্পানি বিএসআরএম ওয়্যারস লিমিটেডে ১৬ কোটি ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসআরএম লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বিএসআরএম ওয়্যারস মূলত বৈদ্যুতিক তার ইলেকট্রোড তৈরি করে

চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে বিএসআরএম লিমিটেড আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৯৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল টাকা ৫৩ পয়সা দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে টাকা ৫২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫১ পয়সা ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০৩ টাকা ৩৫ পয়সা প্রতিষ্ঠানটির অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি

চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিএসআরএম লিমিটেডের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৪২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল টাকা পয়সা ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৩৩ পয়সা ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসআরএম লিমিটেড আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে টাকা ৯০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৮৮ পয়সা ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৯৯ টাকা ৮৯ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৯৭ টাকা ৪৬ পয়সা

সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ডাবল স্বল্পমেয়াদে এসটি-টু ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএসআরএম লিমিটেড ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বিএসআরএম লিমিটেড শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৭৯ টাকা ৮০ পয়সা এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা ৮৫ টাকা

২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন ২৩৬ কোটি লাখ ৮০ হাজার টাকা রিজার্ভে রয়েছে হাজার ৭১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৬০ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৭ এর ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে এছাড়া ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১৭ দশমিক শূন্য শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী বাকি ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন