পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি সমাপ্ত হিসাব বছরের লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
কোম্পানি তিনটি হচ্ছে আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেড, আমান ফিড লিমিটেড এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
তথ্যমতে, কোম্পানি তিনটির মধ্যে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স বোনাস লভ্যাংশ বিও অ্যাকাউন্টে ও বাকি দুটি কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
আর বোনাস শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে পাঠিয়েছে।
আমান কটন ফাইব্রাসের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করে।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৩ পয়সা।
৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৬৮ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৯ টাকা ৪৯ পয়সা।
সম্প্রতি ২০২০ হিসাব বছরের লভ্যাংশ নির্ধারণী পর্ষদ সভা ও এজিএম আয়োজনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের অনুমোদন পায় আমান কটন ফাইব্রাস।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা বুধবার পর্ষদ সভার আয়োজন করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল আমান কটন ফাইব্রাস।
২০১৮ হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল আমান কটন ফাইব্রাস শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা।
গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
আমান ফিডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১২ দশমিক ৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে।
এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও বাকি ২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩২ টাকা ৫৪ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল আমান ফিড।
তার আগের তিন হিসাব বছরে ২০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ডিএসইতে গতকাল আমান ফিড শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা।
গত এক বছরে শেয়ারটির দর ২৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৪৭ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৩৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৬২ পয়সা।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
এর মধ্যে ২ শতাংশ নগদ ও বাকি ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
২০১৮ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৮১ টাকা।