এখন থেকে অনলাইনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে নিয়ে এসে সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, দেশে বর্তমানে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ফলে শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর স্বার্থে সশরীরে পরীক্ষা আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে এনে পরীক্ষা নেয়া যাবে। তবে বিষয়টি ঠিক করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিল। তারা চাইলে অনলাইনেও পরীক্ষা আয়োজন করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সশরীরে পরীক্ষা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছিল ইউজিসি। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল তারা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে ইউজিসি সদস্য ড. দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিও তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সম্প্রতি জমা দেয়া এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেকোনো বিষয়ের (তত্ত্বীয়/ব্যবহারিক) পাঠদান (ইন-পারসন/ অনলাইন) সম্পন্ন হওয়ার পর কালক্ষেপণ না করে তার চূড়ান্ত মূল্যায়ন শেষ করতে হবে। যেসব ব্যবহারিক কোর্স হাতেকলমে কাজ করার বাইরে শেষ করা সম্ভব নয়, সেগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস করে সম্পন্ন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের জন্য উপযোগী অনলাইন পরীক্ষা বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করবে। বাস্তবতার নিরিখে এ বিষয়ে কয়েকটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এগুলো হলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সংযোগ, ইন্টারনেট স্পিড, ডিজিটাল ডিভাইস ও টুল। এছাড়া কোশ্চেন সেটিংস, মডারেশন, পরীক্ষা সংক্রান্ত বোর্ড, অভিযোগ কমিটি, অসাধু পন্থা অবলম্বন ও আন্তর্জাতিকভাবে ফলাফলের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে কমিটি তৈরি করতে হবে।
কমিটির প্রতিবেদনে চারটি পদ্ধতি অনুসরণ করে তত্ত্বীয় বিষয়ের মূল্যায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সৃজনশীল কাজ, সৃজনশীল কুইজ/ বিভিন্ন সেটের বহুনির্বাচনী প্রশ্নমালা, সময়াবদ্ধ শ্রেণী পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা। এক্ষেত্রে কুইজ, শ্রেণী পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের ডিভাইসের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন উভয়টিই চালু থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট নিশ্চিত হবে এমন স্থানে অবস্থান করে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করবে।
প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়, কমিটি মনে করে, অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের প্রাপ্যতা ও প্রয়োজনীয় গতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা যেতে পারে।