বঙ্গোপসাগর
ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এ পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে
ভারত। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রদেশগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতের
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে,
ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে ইয়াস।
দেশটির আবহাওয়া অফিসের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়, গত ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে ইয়াস। সর্বশেষ
দিঘা থেকে ৬১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান ছিলো ঘূর্ণিঝড়টির। বুধবার দুপুরে অতি
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে ইয়াস ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মধ্যে
ওড়িশার বালেশ্বরের কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়
যত স্থলভাগের দিকে এগোবে তত তার গতিবেগ বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আগামীকাল
মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে
বলে জানিয়েছে আবহাওয়া ভবন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মধ্যেই পূর্ণিমা ও
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বলে আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়। এই তিনের
সংযোগে ইয়াস-এর শক্তি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে উপকূলী
এলাকাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ
নেতৃবৃন্দ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত
শাহ। কভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা হচ্ছে বা এ সংশ্লিষ্ট
স্থাপনা যেমন ল্যাব, ভ্যাকসিন কোল্ড চেইন এবং অন্যান্য স্থানে যেন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন
না ঘটে সেজন্য রাজ্যগুলোকে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন তিনি।