তৃতীয় প্রান্তিক

ডেসকোর মুনাফা কমেছে ৬৯ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি বিদ্যুৎ খাতের ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) লিমিটেডের চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ৬৯ শতাংশ কমেছে। তবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে সাড়ে শতাংশ। গতকাল ৩১ মার্চ শেষ হওয়া চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কোম্পানিটির পর্ষদ।

ডেসকোর আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে কোম্পানিটির আয় হয়েছে হাজার ১৪৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৫ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল হাজার ৩৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার ১৫৭ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১০৭ কোটি ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৮ টাকা বা সাড়ে শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৭ কোটি লাখ হাজার ৩৫৫ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৪ কোটি ৫০ লাখ হাজার ৩৪৯ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে ৩৭ কোটি ৪৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৪ টাকা বা ৬৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল টাকা ৩৭ পয়সা।

চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৯১০ কোটি লাখ ১১ হাজার ৯৯ টাকা, আগের বছর একই সময় হয়েছিল ৭৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪৭ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১৫৭ কোটি ৩১ লাখ ৫৪ হাজার ২৫২ টাকা বা ২১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে কোটি ৭৭ লাখ ৯২ হাজার ১৩৯ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল কোটি ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৪ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে কোটি ৫৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৫ টাকা বা ৪৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তিন মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৩ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৪২ পয়সা।

চলতি হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিকে (জুুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল টাকা পয়সা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পনিটির ইপিএস হয়েছিল পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ৪৭ টাকা ২২ পয়সা।

৩০ জুন ২০২০ শেষে সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল টাকা ১৫ পয়সা আর এনএভিপিএস হয়েছিল ৪৬ টাকা ৭৬ পয়সা।

২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৮ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা। এছাড়া ২০১৬ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের দেয় কোম্পানিটি।

ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের দর সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ ৩১ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৪টি। এর মধ্যে সরকারের কাছে ৬৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ১২, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক শূন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন