প্রায় একযুগ ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের
আনন্দ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর। তিনি বলেন, দলের অন্তত ৩৫ লাখ
নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। আর যারা আসামি হন তাদের পরিবারের
সদস্যরাও ঈদ পালন করতে পারেন না। আজ শুক্রবার (১৪ মে) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএরপির এ নেতা বলেন, ঈদ বলতে আমরা যেটা সব সময় বুঝি,
সেই ঈদ শুধু আমাদের তিন বছর না-সত্যি কথা বলতে গত একযুগ ধরে আমাদের
ঈদ নেই। কারণ মিথ্যা মামলা দেয়া, আমাদের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করাসহ এমন একটা অবস্থায় নিয়ে গেছে যে, কমপক্ষে আমাদের ৩৫ লাখ লোক আসামি হয়ে আছে। আর যারা
আসামি হন তাদের পরিবারের কখনো ঈদ আসে না। এটাই
বাস্তবতা।
অত্যন্ত কষ্ট ও খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে
বিএনপি নেতাকর্মীরা ঈদ পালন করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,
একদিকে করোনার ভয়াবহ আক্রমণ অন্যদিকে ফ্যাসিবাদ সরকারের অত্যাচার,
নির্যাতন ও নিপীড়ন। এই দুই দানব থেকে জনগণ ও
দেশ যাতে রক্ষা পায়, সে দোয়া আজকে আমরা আল্লাহ'র কাছে করেছি। তিনি বলেন, সরকারের পলিসির কারণে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেছে। সঠিক
পরিকল্পনা করে লকডাউন দেয়া হলে পরিস্থিতি এমন হতো না বলেও
মনে করেন তিনি। করোনাকালীন সময়ে বাজেটের একটা বড় অংশ সাধারণ জনগণ কাছে পৌঁছে দিতে সরকারের প্রতি
আহ্বান জানান ফখরুল।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক
অবস্থার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ধীরে ধীরে ভালো
হচ্ছেন। আগের চাইতে তার শারীরিক অবস্থা
অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে চিকিৎসকরা আশাবাদী।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে খালেদা জিয়া
দেশের মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি
শুধু নিজের জন্য না, সারা দেশের মানুষের জন্য
দোয়া চেয়েছেন। আর তিনি যেনো সুস্থ হয়ে
আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন, সেজন্য আমরাও দোয়া চাইছি। খালেদা জিয়া যখন আমাদের সঙ্গে
থাকেন তখন তিনি আমাদের অনুপ্রাণিত করেন। উনি
বেঁচে আছেন, আমাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। সেই অনুপ্রেরণা নিয়েই আমরা সামনে দিকে এগিয়ে যাবো।
