করোনাকালে আরও একটি ঈদ

বণিক বার্তা অনলাইন

একদিকে জীবন অন্যদিকে জীবিকার সংকট। ঘুর্নায়মান এ ছকে কেটেছে আতঙ্কের দুটি ঈদ। বছর ঘুরে আবারও এসেছে ঈদ, তবে এর সঙ্গে দীর্ঘ হয়েছে শোকের ছায়া।  তবুও ক্ষীণ আমেজে শুকনো হাসিতে মেতে ওঠার চেষ্টা দেশবাসীর।

আজ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই হৈ-হুল্লোড়, ঘুরে বেড়ানো, খাওয়া-দাওয়া, ঈদগাহে কোলাকুলি ও করমর্দনে শুভেচ্ছা বিনিময়। অদৃশ্য ভাইরাসে সব কিছুতেই যেন ভাটা পড়েছে। 

জাতীয় ঈদগাহ আর ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানসহ কোনো খোলা মাঠে ঈদ জামাত হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল সাতটা থেকে বেলা পৌনে এগারোটা পর্যন্ত পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নতুন কাপড়ে সুগন্ধি মেখে জায়নামাজ হাতে মসজিদে সমবেত হন বহু মানুষ। সকালের জামাগুলোতে মসজিদের ভেতর পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বাইরেও বহু মুসল্লীদের জামাতে অংশ নিতে দেখা যায়। 

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত শেষে মোনাজাত করেন মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।  তিনি বাংলাদেশকে করোনামুক্ত করতে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তৌফিক দিতে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

প্রথম জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 

নামাজ শেষে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মেয়র তাপস। এসময় তিনি বলেন, নাড়ির টানে যারা ঢাকার বাইরে বাবা-মা'র কাছে, পরিবারের কাছে ঈদ করতে গিয়েছেন যেহেতু লকডাউনের বিধিনিষেধ রয়েছে, সেহেতু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হওয়ার পরেই আপনাদেরকে ঢাকায় ফেরার অনুরোধ করছি।

আমরা করোনা মহামারীর মাঝে ঈদ উদযাপন করছি। সুতরাং সবাই সুস্থ থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, বলেন মেয়র।

বায়তুল মোকাররমে ইদ জামাতে অংশগ্রহন করেছেন রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনা মহামারী থেকে হেফাজতের জন্য অাল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছি। ফিলিস্তিনে নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য দোয়া করেছি।

এছাড়াও ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদ, বায়তুল আমান মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ মসজিদ, সোবহানবাগ জামে মসজিদসহ রাজধানীর বহু মসজিদে ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসব মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জামাতে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়। 

ছবি: মো.মানিক


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন